স্টোকস: ক্রিকেটাররা গাড়ি নয় যে, পেট্রোল দিলেই চলবে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি ক্রমেই আরও ব্যস্ত হয়ে উঠছে। এক সিরিজ থেকে আরেক সিরিজের বিরতি মাত্র কয়েকদিন। আবার একই সময়ে একটি দেশের দুটি দল দুই ফরম্যাটে খেলছে। ক্রিকেটারদের বিশ্রামের কোনো সুযোগ মিলছে না।

বেন স্টোকস

এমন ব্যস্ত সূচির কারণে কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ডারহামে বিদায়ী ওয়ানডের আগে তিনি বলেন, ক্রিকেটারদের গাড়ির মতো করে ভাবা বন্ধ করতে হবে। এমন নয় যে পেট্রোল ভরে দিলেই তারা চলতে শুরু করবেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণেই ওয়ানডে ছেড়েছেন স্টোকস। হুট করে তার অবসর ক্রিকেট প্রশাসকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হবে বলে মনে করেন তিনি।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট

টানা খেলে যাওয়া কঠিন, এর শারীরিক ও মানসিক ধকল অনেক। এই যেমন গত ২ জুন থেকে ৫ জুলাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ও ভারতের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড। এই সিরিজ চলাকালীনই তাদের ওয়ানডে দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে।

টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার দুদিন পরেই ভারতের বিরুদ্ধে ইংলিশদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়। এরপর দুই দল খেলেছে তিনটি ওয়ানডে। এই পর্ব শেষ হতেই গত রোববার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ইংল্যান্ড। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই স্বাগতিকরা তিনটি করে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলবে।

স্টোকসের দাবি তাই অমূলক নয়। গতকাল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তার বিদায়ী ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরেছে ৬২ রানে। স্টোকস ৫ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে ৫ রান করেই এলবির ফাঁদে পড়েছেন।

প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রামে থাকবেন স্টোকস। ঠাসা সূচিতে হতাশা প্রকাশ করে ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমরা গাড়ি নই যে মাঠে যাব এবং পেট্রোল নিয়ে আবার চলার জন্য প্রস্তুত হব। আমাদের একটি টেস্ট সিরিজ ছিল এবং একই সময়ে ওয়ানডে দলের একটি সিরিজ চলছিল। এটা হাস্যকর।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন তিন ফরম্যাটেই অনেক বেশি ক্রিকেট হচ্ছে। আগের চেয়ে এটা অনেক কঠিন। অবশ্যই একজন খেলোয়াড় যতটা সম্ভব ক্রিকেট খেলতে চায়। কিন্তু যখন বিষয়টা ক্লান্তিকর হয়ে যায় এবং পাঁচ-ছয় মাস পরে কী হবে সেটা ভাবতে হয়, সেটা সম্ভবত ভালো কিছু নয়।’