আপনি পড়ছেন

দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলাকে এক সময় চীনা বিনিয়োগের মডেল হিসেবে মনে করা হতো, কিন্তু বর্তমানে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশটি পিছিয়ে পড়েছে। তথাকথিত ‘অ্যাঙ্গোলা মডেলের’ শুরুটা তেলভিত্তিক ঋণের উপর ভিত্তি করে চীনের তহবিলের মাধ্যমে রাস্তা, জলবিদ্যুৎ, বাঁধ এবং রেলপথের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠেছিল। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি তেলের দাম যখন পড়ে যায়, সে সময় পর্যন্ত এটি সফল ছিল এবং রাজধানী লুয়ান্ডাকে ঋণ পরিশোধের জন্য আরও তেল উৎপাদনে যেতে বাধ্য করে।

sino angolan cooperationঅ্যাঙ্গোলাকে এক সময় চীনা বিনিয়োগের মডেল হিসেবে মনে করা হতো

যখন বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১৫ ডলার থেকে ৫০ ডলারে নেমে আসে, তখন অ্যাঙ্গোলান অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। এর ফলে ২০১৬ সাল নাগাদ মন্দার মধ্যে পড়ে যায় এবং টানা পাঁচ বছর ধরে সংকুচিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারি সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দেশটি কোনোমতে ঋণখেলাপি এড়াতে পেরেছে। দেখতে পাব, চীনের সঙ্গে অ্যাঙ্গোলার এই ‘হানিমুন’ শেষ হয়ে গেছে।

জিওপলিটিক্যা ডট ইনফোতে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের শুরুর দিকে অ্যাঙ্গোলা চীনা ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে, যা ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলোতে চীনের মোট ঋণের এক চতুর্থাংশেরও বেশি। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে এই দেশটিই সবথেকে বড় চীনের ঋণের গ্রাহক।

২০০২ সালে অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধ শেষ হলে চীন তার রাষ্ট্র মালিকানাধীন এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বিদেশে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানায় এবং অ্যাঙ্গোলায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ যোগায়। ২০১৪ সালে চীনের এক্সিম ব্যাংক তহবিল পুনর্গঠনে তেলের উপর ভিত্তি করে ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর ফলে আবাসন, রাস্তা এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো এলাকায় অবকাঠামো বৃদ্ধি পায়।

স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-চায়না আফ্রিকা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের অনুমান, অ্যাঙ্গোলাকে ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অবকাঠামো ব্যয়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীন।

সেই সময়ে অ্যাঙ্গোলার বেশিরভাগ নেতা আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের চেয়ে চীন থেকে ঋণ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। চীনা ঋণ শর্তহীন ছিল না, এগুলো চীনা শ্রম ও ঠিকাদারদের ব্যবহার ও ‘এক চীন নীতি’র সঙ্গে আবদ্ধ ছিল।

চীনের ঋণ শর্তে আরও বলা হয়েছে, অ্যাঙ্গোলার পুনর্গঠনের অধীনে চুক্তির জন্য সরকারি টেন্ডারের ৭০ শতাংশ চীনা কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হবে। উল্টো দিকে অ্যাঙ্গোলার অর্থনীতি ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জোসে এডুয়ার্ডো ডস সান্তোসের নেতৃত্বে বছরে গড়ে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

একই সময়ে, অ্যাঙ্গোলার তেল উৎপাদন ২০০৩ সালে ৪৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ২০০৮ সালে ৯২ দশমিক ২ মিলিয়ন টনে দাঁড়ায়। চীন অ্যাঙ্গোলান তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হয়ে উঠে।

এছাড়া ২০০৭ সালের মধ্যে বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যায় চীন। ২০০০ সালে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০১৩ সালে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.