গোপীবাগের গোপেশ্বরের গোঁপের বাহার এখন আর আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। তবে ভারতের এই নারীর গোঁপের বাহার মস্ত। পুরুষদের থোরাই কেয়ার করে গোঁপে তা দিয়ে চলেন কেরালার শেইজা।

indian woman who flaunts her moustacheকেরালার নারী সেইজা

গোঁপ বা গোঁফ কিংবা মোচ, যাই বলুন- পুরুষের ঠোঁটেই তা দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। নারীদের মুখে অনেক সময় দুই-একটি লোম দেখা যায়। তবে পার্লারে গিয়ে হোক বা বাসায় বসে হোক, সতকর্তার সঙ্গেই তা উপড়ে ফেলেন নারীরা। কোনো নারী কখনও মোচ রেখে দেন না। আর হরমোন ত্রুটিজনিত কারণে কোনো নারীর দাঁড়ি-মোচ গজালে তা কামিয়ে ফেলেন তারা।

কিন্তু কেরালার কন্নুর জেলার বাসিন্দা ৩৫ বছরের নারী শেইজা হাঁটছেন ভিন্নপথে। লজ্জা পাওয়া বা হীনমন্যতায় ভোগার সময় তার নেই। উপড়ে বা কামিয়ে ফেলার পথে যাননি তিনি। মোচে রীতিমতো তা দিয়ে চলেন শেইজা।

শুধু তাই নয়, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপেও দিয়ে রেখেছেন নিজের ‘সাধের’ গোঁফের ছবি। কে কী বলবে তা নিয়ে ভাবনা নেই শেইজার।

শেইজা বলেন, ‘অনেক সময় রাস্তায় লোকজন মোচ দেখে হাসি-তামাশা করেন। তাতে কিছুই মনে করি না। আমি আমার মোচকে ভালোবাসি।’

শেইজার পরিবারের লোকজন তার মোচ মেনে নিয়েছে। শেইজা জানান, তার কিশোরী মেয়ে বলে, ‘মা তোমার মোচ দেখতে অনেক সুন্দর। তোমাকে ভালোই লাগে।’

শেইজা জানান, কিশোরী বয়স থেকেই তার উপরের ঠোটে দু-একটি করে লোম গজাতে দেখা যায়। প্রথমদিকে মাঝেমধ্যে তুলে ফেললেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একপর্যায়ে পুরো ঠোঁটেই মোচ গজিয়ে উঠে।

বছর পাঁচেক আগে পুরুষের মতোই মোচে ভরে যায় তার ঠোট। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, আর কাটাকাটি- তোলাতুলি নয়। একেবারেই রেখে দেবেন মোচ।

এখন আর মোচ কাটেন না শেইজা। তবে ছেঁটে সুন্দর করে রাখেন। ঠোঁটের দুইপাশে পুরুষের মতো তা দিয়ে রাখেন নিজের শখের গোঁপ।

সূত্র: বিবিসি

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.