প্যাসিফিক-তাইওয়ান ঘিরে চীন-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধ

প্রশান্ত মহাসগারীয় (প্যাসিফিক) অঞ্চল ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে চীনের সামরিক উপস্থিতি সহ্য হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের। বিপরীতে চীন এই অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর সামরিক বলয় তৈরির স্বপ্ন দেখছে। সমুদ্রে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি সামরিক ঘাঁটিও গড়তে চায় চীন। অপরদিকে তাইওয়ানকে নিয়েও দুদেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে আল অ্যারাবিয়া এই খবর দিয়েছে।

প্যাসিফিক-তাইওয়ান ঘিরে চীন-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে। গণতান্ত্রিক ও স্বশাসিত দ্বীপটিকে বেইজিং একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। এমনকি মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানকে একীভূত করতে চীন।

মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, বেইজিং ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ানে সামরিক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান মিত্র এবং সামরিক অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সকল হুমকি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। তবে চীন আক্রমণ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী তাইওয়ানকে রক্ষা করবে কিনা তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।

মার্ক মিলি

চীনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল লি জুওচেং ৭ জুলাই মার্কিন সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, তাইওয়ানের মতো ইস্যুতে বেইজিংয়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার কোনো জায়গা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাইওয়ানের সাথে সামরিক যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।

এদিকে বেইজিং এপ্রিল মাসে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির কারণেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা উদ্বিগ্ন। এই চুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে চীন নৌ ঘাঁটি স্থাপনের দিকে অগ্রসর হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে জানিয়ে দিয়েছে, এ অঞ্চলে চীনা সামরিক ঘাঁটি সহ্য করা হবে না।