কঙ্গোয় জাতিসংঘ বিরোধী বিক্ষোভ, নিহত ৫ আহত অর্ধশত

আফ্রিকার কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং অর্ধশত আহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তুলেছে ‌'শান্তিরক্ষীরা চলে যাও'। একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর টাইম।

কঙ্গোয় জাতিসংঘ বিরোধী বিক্ষোভ, নিহত ৫ আহত অর্ধশত

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে সোমবার বিক্ষোভকারীরা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা চালায়। তারা গোমায় জাতিসংঘের মিশন অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখানে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করে। বহু বছর ধরে কঙ্গোতে অবস্থানরত জাতিসংঘ বাহিনীকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সরকারি মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, গুলিতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত ও অর্ধশত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। তিনি জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর এবং ভবনগুলোতে হামলার নিন্দা করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের ওপর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা গুলি চালিয়েছে।
তবে সরকারের মুখপাত্র মৃত্যুর কারণ বলেননি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে যে গুলি করা হয়েছে, তা আত্মরক্ষামূলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।

প্যাট্রিক মুয়ায়া বলেন, গোমায় শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। জাতিসংঘের মতে, কঙ্গোতে মিশনের ১৬ হাজারেরও বেশি ইউনিফর্মধারী কর্মী রয়েছে।

কঙ্গোলিজ সৈন্য এবং এম২৩ বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। চলমান বিক্ষোভের এটিও একটি কারণ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এম২৩ বাহিনী ব্যাপকহারে অস্ত্রের ব্যবহার করে আসছে এ অঞ্চলে।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের আবাসস্থল। কঙ্গো ও উগান্ডার সেনাবাহিনী জরুরি অভিযান চালালেও এ অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও খারাপ হয়েছে।