আপনি পড়ছেন

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য সফরকে ঘিরে দুই দেশ তাইওয়ান প্রণালী ও কাছাকাছি এলাকায় সৈন্য ও অস্ত্র সমাবেশ করছে। মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান এসকর্ট নৌবহরসহ সিঙ্গাপুর থেকে তাইওয়ানের দিকে যাচ্ছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগর ও সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল ও পরশু সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন।

ronald reagan tlsd সিঙ্গাপুর থেকে তাইওয়ান প্রণালীর পথে মার্কিন রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ও এসকর্ট গ্রুপ

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গতকাল বুধবার বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসির সফরের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। আমরা এ সফরের কঠোর বিরোধিতা করছি। যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনকে চ্যালেঞ্জ করে তার পরিণতি যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরপন্থী রাজনীতিকরা পেলোসির সফরের পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক- উভয় দলেরই বেশ কয়েকজন পেলোসির সম্ভাব্য সফরে উৎসাহ দিয়েছেন।

সিআইএ-এর সাবেক প্রধান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইটে পেলোসিকে সমর্থন করে লেখেছেন, ‘ন্যান্সি, আমি তোমার সঙ্গে যাবো। চীন আমাকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু স্বাধীনতাপ্রেমী তাইওয়ানে যেতে বাধা নেই। তোমার সঙ্গে সেখানে দেখা হবে।’

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেছেন, ‘স্পিকার যদি যেতে চান, তার যাওয়া উচিত।’ একইভাবে রিপাবলিকান সিনেটর রয় ব্লান্ট বলেছেন, ‘যেহেতু পেলোসিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি তার আরও বেশি করে যাওয়া জরুরি।’

টেক্সাস থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান পিট সেশনস বলেছেন, ‘আমি স্পিকার হলে অবশ্যই এ সফরে যেতাম।’ কানেক্টিকাট থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জিম হাইমস বলেছেন, ‘চীনারা স্পিকারের সফর ঠেকাবে না।’

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের একাধিক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, পেলোসির সম্ভাব্য সফরের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসকে কড়া বার্তা দিয়েছে চীন। তাইওয়ানে এ সফর হলে চীন যে কোনো ধরণের সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে বেইজিং থেকে একাধিক অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে হোয়াইট হাউসকে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত কিন গাঙ বলেছেন, ‘কেউ তাইওয়ানকে চীন থেকে পৃথক করতে ও চীনের সহ্যের সীমা পরীক্ষা করতে চাইলে চীনা সামরিক বাহিনী সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ নেবে। এ বাহিনী সবসময় শান্তির জন্য কাজ করেছে। ১৯৪৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীনা সামরিক বাহিনী কোনো যুদ্ধের সূচনা করেনি, কোনো দেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।’

সফরের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তান কাফেই বুধবার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজের মনমতো পদক্ষেপ নেয়, চীনা সামরিক বাহিনী বসে থাকবে না। যে কোনো বহিঃশক্তির নাক গলানো বন্ধ করতে সামরিক বাহিনী শক্ত পদক্ষেপ নেবে।’

সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ল’- এর শিক্ষক নি লেজিয়ং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, যদি পেলোসি সফর করেন, তাহলে পিএলএ আকাশে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীতে নৌ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

মার্কিন নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি নৌ ঘাঁটিতে পোর্ট কলে আসা পারমাণবিক অস্ত্রবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান বুধবার তাইওয়ান প্রণালীর দিকে যাত্রা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে একমাত্র স্ট্রাইক রণতরী রোনাল্ড রিগ্যান এবং সেটিকে এসকর্টকারী নৌযানগুলো ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য সফরকে বিবেচনায় রেখে বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এপি জানিয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান গেলে সে সময় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জঙ্গিবিমান, সামরিক নৌযান, ভারী অস্ত্র ও নজরদারির যন্ত্রপাতি বাড়ানো হবে। এছাড়া তাইওয়ান যাবার পথে পেলোসিকে বহনকারী বিমানের চারপাশে এবং সেখানে অবতরণের পর তাকে ঘিরে সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করা হবে।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের ভাষ্যকার হু জিন বলেছেন, চীন কোনোভাবেই পেলোসির তাইওয়ান সফর মসৃণ হতে দেবে না। মার্কিন সামরিক বাহিনী পেলোসির বিমানকে এসকর্ট করলে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।

আজ সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে চীনের মেরিটাইম সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সামরিক বাহিনী মহড়া চালাবে। শুক্র ও শনিবার এ মহড়া চলবে।

পৃথক খবরে চীনের সামরিক বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জানিয়েছে, বুধবার তারা প্রথমবারের মতো ড্রোনের সাহায্যে তাইওয়ানের চারপাশে চক্কর দিয়েছে। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী ওই ড্রোন শনাক্ত করতে পারেনি বলে পিএলএ দাবি করেছে।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.