সাঈদকে ঠেকানোর রাজনৈতিক শক্তি তিউনিসিয়ায় নেই!
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নতুন সংবিধান ৯২.৩ শতাংশ ভোটারের অনুমোদন পেলেও গণভোট পরবর্তী তিউনিসিয়ার পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। জনসাধারণের সমর্থন নিয়ে তিনি এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন। তবে সাঈদের পতন ঘটানোর মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি তিউনিসিয়ায় নেই। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। বিরোধী দলগুলো জনগণকে সাঈদের পদক্ষেপকে বয়কট আহ্বান জানিয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টাকে তারা স্বৈরাচারী যুগে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানালেও বাস্তব অর্থে সাঈদকে হটানো তাদের জন্য কঠিন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের এমিলিয়ানো আলেসান্দ্রি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, প্রেসিডেন্ট সাইদকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রয়োজনীয় উপায় এবং সমর্থনসহ কোনো একক শক্তি তিউনিসিয়ায় নেই। এক সময় আরব বসন্তকে সবচেয়ে সফল গল্প হিসেবে সমাদৃত করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখন পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। কারণ দেশটি সাঈদের প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান গ্রহণ করতে চলেছে।
নতুন সংবিধানে কী আছে: সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সংবিধানের সংস্করণটি পুনর্লিখন করেছেন এবং করতে কম সময় নিয়েছেন। নতুন সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পুনঃসংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা তাকে প্রতাপশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তাছাড়া বিচার বিভাগের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান কার্যকরের মাধ্যমে তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রেসিডেন্ট শাসিত ব্যবস্থায় চলে যাবে। এর ফলে বিচারিক ক্ষমতা হ্রাস হয়ে যাবে, যা বিরোধী দল এবং অধিকারকর্মীদের জন্য কঠিন সময় আনতে পারে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট সাঈদ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির মামলা আটকে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে সমালোচনা এবং বিচার বিভাগের প্রতি তার বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। গত মার্চ মাসে ডিক্রি জারি করে তিনি দেশের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ৫৭ জন বিচারককে বরখাস্ত করেন।
২০১১ সাল থেকে তিউনিসিয়ার অর্থনৈতিক পতন সাঈদের উত্থানকে ত্বরান্বিত করে। তিউনিসিয়ার জনগণ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। জনগণ যা পাওয়ার জন্য জেসমিন বিপ্লব সংঘটিত করেছিল, সেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণ বিরক্তি প্রকাশ করে। এই কারণেই প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিলেও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কমই ছিল।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.