দোনেৎস্কের কারাগারে রকেট হামলায় নিহত ৫৩, আহত ৭৫

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের ইয়েলেনভকা কারাগারে রকেট হামলায় অন্তত ৫৩ জন বন্দী নিহত ও ৭৫ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের সবাই মারিওপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সৈন্য ও মিলিশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছে এবং ঘটনাটিকে ‘নগ্ন উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে। খবর তাস, ইজভেস্তিয়া।

আজভস্টালে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সৈন্য ও মিলিশিয়াদের ইয়েলেনভকা কারাগারে রাখা হয়েছিল

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কনাশেনকভ বলেছেন, ইয়েলেনভকা কারাগারে মূলত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও আজভ মিলিশিয়া সদস্যদের রাখা হয়েছিল। ভবিষ্যতে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা যাতে আত্মসমর্পণ করতে নিরুৎসাহিত হয়, সেজন্য এ হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, মারিওপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়। আত্মসমর্পণকারী ২ হাজার ৫০৯ জন যুদ্ধবন্দীর মধ্য থেকে পদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও মিলিশিয়া কমান্ডারদের সীমান্তবর্তী রোস্তভ জেলার হাই সিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করে রুশ বাহিনী। অবশিষ্ট বন্দীদের দোনেৎস্কের ইয়েলেনভকা কারাগারে রাখা হয়।

দোনেৎস্কের রাশিয়াপন্থী প্রশাসনের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী দানিল ব্রেজেসনভ বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার পর ইউক্রেনীয় বাহিনী ইয়েলেনভকা প্রিজন কলোনিতে গোলাবর্ষণ করে। আমেরিকার দেওয়া হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হাইমারস) থেকে এসব গোলা ছোঁড়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। হামলার পরপর ঘটনাস্থল থেকে ৪০টি মরদেহ ও ১৩০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, ইয়েলেনভকায় যুদ্ধবন্দীদের রাখা হয়েছে এটা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ভালোভাবে অবগত আছেন। তারা এসব বন্দীকে ‘বীর’ হিসেবে উপস্থাপন করতেন। এখন বিচার শুরুর পর তাদেরকে হত্যা করা হলো। আমরা মনে করছি যুদ্ধবন্দীদের বিচার হলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের অনেক অপকর্ম প্রকাশ হতো। এজন্য হয়তো ইউক্রেনীয় বাহিনীর সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব বন্দীদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দোনেৎস্কের টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে ইজভেস্তিয়া জানিয়েছে, ইলেয়েনভকা প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন সেন্টারে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হয়েছে। আরও ৭৫ জন আহত হয়েছে। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।