ইইউ আদালত: অভিবাসীদের জাহাজে তল্লাশি বেআইনি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত সোমবার রায় দিয়েছে, জাতীয় সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে জড়িত জাহাজগুলোকে তল্লাশির উদ্দেশ্যে আটক করা যাবে না। কারণ এসব জাহাজে বিপদে পড়া অভিবাসীরা থাকে এবং তারা হয়রানির শিকার হতে পারে। জার্মান অভিবাসী সহায়তা গোষ্ঠী সি-ওয়াচের একটি আপিলের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় আদালত এই রায়টি দিয়েছে। খবর দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল।

ইইউ আদালত: অভিবাসী জাহাজে তল্লাশি বেআইনি

রায়ে বলা হয়েছে, জার্মান গ্রুপের দুটি জাহাজকে ২০২০ সালে সিসিলিতে তল্লাশির জন্য থামতে বাধ্য করা হয়েছিল। সে সময় জাহাজটির অভিবাসীরা হয়রানির শিকার হয়। ইতালীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের তদন্তে তা প্রমাণিত হয় এবং জাহাজ দুটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার মিশনের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল না। এরপর থেকে সকল উদ্ধার জাহাজে কঠোর তল্লাশি চালানো হয়।

আদালত জানিয়েছে, সমুদ্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম যাচাইয়ের নামে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের হয়রানি করা উচিত নয়। তবে লুক্সেমবার্গভিত্তিক ইসিজে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী জাহাজের অবস্থা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশের নিয়মগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে জাহাজগুলো পরিদর্শন করার অধিকার জাতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

সি-ওয়াচ আদালতের রায়কে বিজয় হিসাবে বর্ণনা করেছে। যার অর্থ বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে জাহাজ আটক করতে কিংবা তাদের কাজে বাধা দিতে পারবে না। এই রায় এনজিওগুলোর জন্য সুস্পষ্ট আইনি নিরাপত্তা প্রদান করে এবং সমুদ্রে তাদের জন্য একটি বিজয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের কোনো দেশই সক্রিয়ভাবে ভূমধ্যসাগরে বিপদগ্রস্ত অভিবাসীদের সন্ধানে এগিয়ে আসে না। অথচ চলতি বছর এ পর্যন্ত ১ হাজার জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। এদের অধিকাংশই উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে মারা যান। আন্তর্জাতিক আইনের কারণে স্বেচ্ছাসেবী জাহাজগুলো সাগরে নির্ভয়ে তৎপরতা চালাতে পারে না।

বেশিরভাগ ইউরোপগামী অভিবাসী পরিবারের তাড়নায় কাজ খুঁজে পাওয়ার আশা করে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনী এজেন্ডায় মাইগ্রেশন একটি মূল বিষয়। ডানপন্থী লিগ পার্টির নেতা মাত্তেও সালভিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করবেন।