ফাইভজি: ভারতে কর্মসংস্থান হবে ১ কোটি

ফাইভজির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে বিশ্বে শিল্পকারখানা, কৃষি, যানবাহনসহ সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে বিপ্লব সাধিত হবে। ফাইভজিতে প্রতি সেকেন্ডে ডাউনলোড স্পিড ১০ থেকে ৫০ গিগাবাইট। ফোরজিতে এই গতি ১০ থেকে ২০ মেগাবাইট। অর্থাৎ ফোরজির চেয়ে ফাইভজির গতি ১০০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত গুণ বেশি। এ জন্যই বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ আগামীর নেটওয়ার্ক ফাইভজি চালু করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অন্যান্য দেশের সাথে প্রযুক্তিতে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে সম্প্রতি ফাইভজি স্পেকট্রাম নিলাম প্রক্রিয়া শেষ করেছে ভারত। নিলাম শেষ না হতেই দেশটিতে আলোচনা চলছে কবে নাগাদ ফাইভজি চালু হবে।

ফাইভজি নেটওয়ার্ক

ফাইভজি নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, অক্টোবরে দেশে ফাইভজি পরিষেবা চালু হতে পারে। শুরুতে দেশের ১৩টি শহরে এই সেবা চালু করা হবে। এই তালিকায় রয়েছে- কলকাতা, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দ্রাবাদ, জামনগর, লখনউ, মুম্বাই এবং পুনে। পাশাপাশি আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সারা দেশে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে।

ফোরজির তুলনায় ফাইভজি পরিষেবা ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে না। গ্রাহকদের হাতের নাগালের মধ্যে রাখা হবে এর দাম, এমনটাই আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

ফাইভজি পরিষেবাকে কেন্দ্র করে ভারতে টেলিকম সেক্টরে অন্তত ২ থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ফাইভজি চালুর মধ্যে দিয়ে ভারতে বিশাল বিনিয়োগের সৃষ্টি হবে। যার ফলে ১ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

বর্তমানে ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রযুুক্তি পণ্য উৎপাদনে ৬০ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।