ডনবাসে এক লাখ সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব উত্তর কোরিয়ার

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের (এলপিআর) সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করতে এক লাখ সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সিন হং চোল মস্কোতে ডিপিআরের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি ওলগা মাকিভার সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন।

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী অঞ্চলগুলোর সাহায্যার্থে সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া

ডিপিআরের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ডনবাস অঞ্চলে নবগঠিত দুই প্রজাতন্ত্র ডিপিআর ও এলপিআরকে সবার আগে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকর্তারা নতুন দুই প্রজাতন্ত্রের পুনর্গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়া ডনবাস অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও গড়ে ওঠায় সাহায্য করতে এক লাখ সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডিপিআর প্রতিনিধির বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে শিল্প, কৃষি, নির্মাণ খাত, বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সব খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রদূত ডনবাস অঞ্চলে আসন্ন নির্মাণ ও অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে তার দেশ থেকে শ্রমিক অভিবাসনের আশা ব্যক্ত করেছেন।

ডিপিআর প্রতিনিধি ওলগা মাকিভা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি ডনবাস অঞ্চল থেকে আটক যুদ্ধাপরাধী ও ভাড়াটে সৈন্যদের বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন প্রক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়াকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ডিপিআরের রাশিয়াপন্থী প্রশাসনের প্রধান ডেনিস পুশিলিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পুশিলিনকে পিয়ংইয়ংয়ে আমন্ত্রণ জানাতে রাষ্ট্রদূত সিন হং চোলকে অনুরোধ জানিয়েছেন ওলগা মাকিভা।

নর্থ কোরিয়া নিউজ জানিয়েছে, ক্ষমতারোহনের পর গত ১০ বছরে কিম জং উন কেবলমাত্র তিনজন রাষ্ট্রপ্রধানকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এরা হলেন- চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিন নেতা ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়ে উত্তর কোরিয়া সফর করেন। এছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পিয়ংইয়ং সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তবে তাকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে কিনা জানা যায়নি।

এর আগে গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মাতসেগোরা বলেন, ডনবাসের নতুন প্রজাতন্ত্রগুলোর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলোর পুনর্গঠনে উত্তর কোরিয়া প্রকৌশলী ও শ্রমিক পাঠাতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।