চীনা জাহাজকে ভিড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা, নেপথ্যে ভারত!

চীনের একটি উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা জাহাজকে নিজেদের বন্দরে নোঙর করতে দিতে অনীহা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে শ্রীলঙ্কান কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি সাক্ষাতের সুযোগ চাইছে কলম্বোর চীনা দূতাবাস। খবর পিটিআই।

শ্রীলঙ্কার বন্দরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ চীনা জাহাজের উপস্থিতি নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত

ইউয়ান ওয়াং- ফোর নামের জাহাজটি পূর্বনির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলীয় হাম্বানটোটা বন্দরে আসার কথা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি-সংযোজিত জাহাজটি মহাকাশ ও স্যাটেলাইট উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থাকে।

শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনা জাহাজটি জ্বালানি ও রসদ সংগ্রহের জন্য হাম্বানটোটা ডকে অবস্থান করবে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে জাহাজটি ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে স্যাটেলাইট কন্ট্রোল ও রিসার্চ ট্র্যাকিংয়ে নিয়োজিত থাকবে।

ভারত আশঙ্কা করছে, স্যাটেলাইট ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্র্যাকিংয়ে সক্ষম বলে পরিচিত উচ্চ প্রযুক্তির চীনা জাহাজটি এ অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনাগুলোয় আড়ি পাতবে। বিষয়টি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে উল্লেখ করে দিল্লির কর্মকর্তারা ইউয়ান ওয়াং ফোরকে আসতে দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা শ্রীলঙ্কাকে জানান।

ভারতের আপত্তি ও চাপের মুখে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার চীনা দূতাবাসকে ‘তৃতীয় পুরুষে’ লেখা এক চিঠিতে দুই পক্ষের মধ্যে পরবর্তী আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত ইউয়ান ওয়াং ফোর-এর হাম্বানটোটায় আগমন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।

শ্রীলঙ্কার হঠাৎ এমন বেঁকে বসার কারণ জানতে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করতে চাইছে কলম্বোর চীনা দূতাবাস।

শ্রীলঙ্কার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চীনা দূতাবাসকে চিঠি পাঠানোর পর প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে চীনের রাষ্ট্রদূত কি ঝেনহংয়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। তবে শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ খবর নাকচ করে দিয়েছে।