রুশদির ওপর হামলা: অস্বীকার করল ইরান

নিউইয়র্কে সালমান রুশদির ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার সাথে তেহরান জড়িত, এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সোমবার সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

নাসের কানানি

কানানি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সালমান রুশদির ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি এবং তার সমর্থকরা ইরানের ওপর দোষ দিতে পারেন, কিন্তু এ বিষয়ে অন্য কারও অভিযোগ করার অধিকার নেই, আর করলেও তা আমরা মেনে নেব না।

গত শুক্রবার পশ্চিম নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে ৭৫ বছর বয়সী রুশদিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলায় তার একটি লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার একটি বাহু ও চোখের স্নায়ুরও ক্ষতি হয়েছে। রুশদির প্রতিনিধি এসব তথ্য জানিয়েছেন। লেখকের চোখ হারানোর শঙ্কাও রয়েছে।

হত্যার হুমকি

রুশদির ওপর যে ব্যক্তি হামলা করেছে তার নাম হাদি মাদার। বয়স ২৪ বছর। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইয়ের জন্য রুশদি হুমকির মুখে ছিলেন। তার বইটিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছিল। এ কারণে মুসলিম বিশ্ব জুড়ে তিনি নিন্দিত। ইরানের প্রয়াত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া বা একটি আদেশ জারি করেছিলেন।

ইরানি আইনপ্রণেতার টুইট

এর আগে ইরানের এক আইনপ্রণেতা টুইটারে বলেন, রুশদির ওপর হামলায় ইরান সরাসরি জড়িত কিনা তা পরের বিষয়, তবে শহীদ সোলেইমানির হত্যাকারীদের জন্য হামলাটি একটি সতর্কবাণী। এই আইনপ্রণেতার নাম মালেক শরিয়তি। তিনি ইরানের সংসদে তেহরান প্রদেশের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন।

আইনপ্রণেতা বলেন, ইরান যদি সরাসরি জড়িত থাকে, তাহলে তা ইরানের শক্তি প্রমাণ করে। ইরান থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কোনো মুসলমান যদি হামলা চালায়, তাহলে বুঝতে হবে ইসলামি বিপ্লবের বীজ তার হৃদয়ে সুপ্ত ছিল। আর যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য এর পেছনে থাকে, তবে এটি তাদের জন্য একটি শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে। যে কোনো অবস্থাতেই এই হামলা শহীদ সোলেইমানির হত্যাকারীদের জন্য একটি সতর্কবাণী।