‘কাশ্মিরি বুলেট’কে ম্যাকগ্রার পরামর্শ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলের আবিষ্কার উমরান মালিক। টুর্নামেন্টে টানা দুই আসরে গতির ঝড় তুলেছেন ‘কাশ্মিরি বুলেট’ খ্যাত ভারতীয় পেসার। বহুবার ঘণ্টায় দেড়শ’ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে তার বলের গতি। দ্রুতগতির এই বোলিং দিয়েই কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর নজরে এসেছেন উমরান। নজর এড়ায়নি ভারতীয় নির্বাচকদেরও।

উমরান মালিককে টোটকা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা

উমরান জায়গা করে নেন ভারত জাতীয় দলে। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তিনটি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। কিন্তু গতি দিয়েই যে সব হয় না সেই বাস্তবতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ভারতীয় পেসার। তিন ম্যাচ খেলে ওভার প্রতি তিনি রান দিয়েছেন দ্বিগুণেরও বেশি, ১২.৪৪! সাফল্য বলতে মোটে দুই উইকেট।

স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েছেন উমরান। দলের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর ইনজুরির পরও ভারতের এশিয়া কাপের দলে জায়গা হনি তার। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা এখন বুঝতে পারছেন জম্মু-কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত এই তরুণ। এবার ২৩ ছুঁই ছুঁই বয়সী এই পেসারের পাশে এসে দাঁড়ালেন গ্লেন ম্যাকগ্রা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কঠিন বাস্তবতা টের পাচ্ছেন উমরান মালিক

কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরা যায় উমরানকে সেই টোটকাই দিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার। তাতে অবশ্য গতি কমাতে হবে না ভারতীয় পেসারকে। মঙ্গলবার ম্যাকগ্রা বলেছেন, ‘বোলিং নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বলের গতি কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমি নই। বরং গতি ধরে রেখেই বলের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম দরকার।’

উমরানের এই গতি অন্যদের মতো মুগ্ধ করেছে ম্যাকগ্রাকেও। অস্ট্রেলিয়ান প্রাক্তন পেসার বলেছেন, ‘উমরানকে আমি খুব বেশি বল করতে দেখিনি। ওর বলে অনেক গতি আছে। এটা খুবই ভালো। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বল করতে কাউকে শেখানো যায় না। এটা ওর নিজস্ব দক্ষতা।’

ম্যাকগ্রার বিশ্বাস, গতি ধরে রেখে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারলে ব্যাটারদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠবেন উমরান।

ভারতের হয়ে তিন ম্যাচের দুটিতে ৯৮ রান দিয়েছেন উমরান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য এক ওভারে ১৪ রান খরচ করেছেন তিনি। বল হাতে এমন উদারতাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। ছিটকে গেছেন দল থেকে। ডাক পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে। এশিয়া কাপেও ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে উমরানকে ডাকা প্রয়োজন মনে করেননি নির্বাচকরা।