বিশ্বব্যাংক: বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই

বিশ্বব্যাংক বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে। তবে সেই তুলনায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি, খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কাও নেই।

বিশ্বব্যাংক

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায় বিশ্বব্যাংক। খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নানা পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। সেই তুলনায় বাংলাদেশে মাত্র ৮.৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সরকার

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নানা পদক্ষেপ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবেলায় চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এছাড়া কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ ও সারে ভর্তুকি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবেলায় বাংলাদেশের এসব নীতি কার্যকরী হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় মাত্র দুটি দেশ- বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে বিশাল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন কমেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে ভারতও খাদ্যে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাসে জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হবে। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এমন মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ। এ খাদ্য ঘাটতি তৈরি হচ্ছে সার ও জ্বালানির ঘাটতির কারণেই।