৩৭০০০ ফুট উপরে বিমান, দুই পাইলটই ঘুমে

সুদানের খার্তুম বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল বোয়িং ৭৩৭। গন্তব্য ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা। তবে আদ্দিস আবাবায় অবতরণের সময় হলেও নামছিল না বিমানটি। ৩৭ হাজার ফুট উপরে বিমানবন্দরের আকাশে কেবল চক্কর কেটে যাচ্ছিল।

ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইনস

এতে বিমানে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরেও। শেষপর্যন্ত দেখা গেল, ঘুমিয়ে গেছেন দুই পাইলটই। বিমানকে অটোমুডে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন তারা।

আতঙ্কিত হওয়ার মতো এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার। ঘটনাটি শুক্রবার (১৯ আগস্ট) প্রকাশ্যে আনে বিশ্বের বিমান চলাচলের খবর প্রকাশ করা সংবাদমাধ্যম এভিয়েশন হেরাল্ড।

এভিয়েশন হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, খার্তুম থেকে উড্ডয়নের পরই দুই পাইলট বিমানটিতে ‘অটো পাইলট’ সিস্টেম চালু করে দেন। এরপর তারা নিজেদের চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েন। আদ্দিস আবাবা পৌঁছে গেলেও ঘুম ভাঙেনি দুই পাইলটের।

এদিকে বিমানবন্দরের কর্মীরা অবতরণের জন্য বারবার সংকেত দিলেও রানওয়ের দিকে আসছিল না ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটি। সেটি বারবার চক্কর দিচ্ছিল ৩৭ হাজার ফুট উঁচুতে আকাশে।

বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিএফ) পক্ষ থেকে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও দুই পাইলটের কোনো সাড়া মিলছিল না। একপর্যায়ে বিমানের অটোপাইলট সিস্টেমও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই উচ্চশব্দে বিপদসংকেত বাজতে শুরু করে। তাতেই ঘুম ভাঙে দুই পাইলটের। অবশেষে নির্দিষ্ট সময়ের ২৫ মিনিট পর রানওয়েতে অবতরণ করে বিমানটি।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থা ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইনস। পাইলটদের উপযুক্ত বিশ্রাম না দেওয়ার কারণেই ঘটেছে এ ঘটনা। তবে এভিয়েশন বিশ্লেষক অ্যালেক্স মাকারাস টুইটারে ওই ঘুমন্ত পাইলটদের ছবি দিয়ে বলেছেন, ঘটনা গভীর উদ্বেগের।

সূত্র: এনডিটিভি