তালেবান নেতাদের নিয়ে বিভক্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানের শীর্ষ কিছু কর্মকর্তার ভ্রমণ অব্যাহতি বাড়ানোর ব্যাপারে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানা যেতে পারে। খবর এপি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাতিসংঘের এক ঘোষণার মাধ্যমে ১৩ জন তালেবান কর্মকর্তার বিদেশ সফর নিষেধাজ্ঞা মুক্ত ছিল। গত শুক্রবার সে ভ্রমণ অব্যহতির মেয়াদ শেষ হয়। রাশিয়া ও চীন ওই ভ্রমণ অব্যাহতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে আফগানিস্তানে নারীর অধিকার হরণ এবং শপথ অনুযায়ী সরকার পরিচালনার ব্যর্থতার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তালেবান কর্মকর্তাদের এ অব্যাহতির মধ্যে কাটছাট করতে চাইছে।

২০১১ সালের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৩৫ জন তালেবান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর অধীনে তাদের সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনার জন্য বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ১৩ জন কর্মকর্তার ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

আবারো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে তালেবান নেতারা

গত শুক্রবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সে মেয়াদ শেষ হয়। অবশ্য এই ১৩ জনের সাথে আরও দুইজনের নাম ছিল। কিন্তু নারী অধিকার খর্ব করার অভিযোগে নিরাপত্তা পরিষদ গত জুনে তালেবানের দুই শিক্ষামন্ত্রীকে এ তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়।

এ পর্যায়ে তাদের ভ্রমণ অব্যাহতি বাড়ানোর বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্র ১৩ জনের মধ্যে সাতজনের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা এবং ছয়জনের জন্য অব্যাহতি রাখার প্রস্তাব করেছে। তবে তাদের ভ্রমণ শুধুমাত্র কাতারে সীমিত করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়া ও চীন তাদের ভ্রমণ অব্যাহতির মেয়াদ আরও কিছুদিন দীর্ঘায়িত করতে চায়। তারা প্রস্তাব দিয়েছে, ওই তালেবান কর্মকর্তাদের আরও ৯০ দিনের জন্য ভ্রমণ অব্যাহতি দেওয়া হোক। তবে এর মাধ্যমে তারা শুধু রাশিয়া, চীন, কাতার ও আঞ্চলিক কিছু দেশে যেতে পারবেন।

জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, ইসলামি আমিরাতের কর্মকর্তাদের জন্য ভ্রমণ অব্যাহতি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সোমবার নেওয়া হবে।

জাতিসংঘের আফগান প্রতিনিধি নাসির আহমদ ফাইক বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে। সোমবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।