ভারতে গম-চালের মজুদ ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে

ভারতের মজুত শস্যের পরিমাণ গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে এসে পৌছেছে। ফলে দেশটিতে গম ও আটার দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। সংকট মেটাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ ভারতকেও গম আমদানি করতে হতে পারে, এমন শঙ্কা জেগেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর জিনিউজ।

গম

ভারতের ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট অনুসারে, গমের দাম এরইমধ্যে ১২ শতাংশ বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর ভারতের মজুত রেকর্ড পরিমাণ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ২১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলে গমের মজুতের পরিমাণ ২৬৬ দশমিক ৪৫ লক্ষ টন, অন্যদিকে চালের মজুত ২৭৯ দশমিক ৫২ লক্ষ টন। গত ১৪ বছরে মজুত এত নিচে নামেনি।

চার মাস আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারত এখন বিশ্বের ক্ষুধা নিবারণের জন্য তৈরি। তবে সেই ঘোষণার পরপরই বদলে যায় পরিস্থিতি। গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হলেও ভারত দাবি করে, দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তাতেও খাদ্যশস্যের মজুত পরিমাণের স্তর স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার।

গম আমদানির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ হলেও কখনোই গম রপ্তানিকারক হিসেবে শীর্ষ স্থানে ছিল না। আর কম উৎপাদনের কারণে এবারও গম রপ্তানি করতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়, বর্তমানে গমের আমদানির ওপর যে ৪০ শতাংশ কর রয়েছে, তা কমিয়ে বা তুলে দিয়ে দেশের গমের মিলগুলোকে গম আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

ভারত সরকার আসন্ন গম আমদানির বিষয়ে মিডিয়ায় প্রচারিত প্রতিবেদনগুলোকে অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত গম মজুত রয়েছে এবং গম আমদানি করার মতো কোনও পরিকল্পনা নেই।

গত ছয় মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বের গম সরবরাহে প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ বড় ধরনের খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতেও সে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও  ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হলো।