ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে নতুন ড্যাপ

ঢাকাকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রহণ করা হয়েছে ২০ বছর (২০১৬-২০৩৫ সাল) মেয়াদি ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি গেজেট জারি করে।

ঢাকা শহর

নতুন ড্যাপের আওতায় ১ হাজার ৫৮২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক। নতুন গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে কার্যকারিতা হারালো ২০১০ সালে পাসকৃত ড্যাপ।

নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় সরকার এখন থেকে প্লটভিত্তিক উন্নয়নের পরিবর্তে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবে। তাছাড়া আবাসিক ভবনের উচ্চতার ক্ষেত্রেও থাকবে না আর কোনো বিধিনিষেধ। তবে কোনো এলাকার রাস্তার প্রশস্ততা এবং নাগরিক সুবিধা যেমন- পার্ক, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রভৃতি বিবেচনায় রেখেই বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে হবে।

এতদিন রাজউকের আওতাধীন ঢাকার দুই সিটি, সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আংশিক (১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার) এলাকায় সর্বোচ্চ ৮ তলা পর্যন্ত উচ্চতার ভবন নির্মাণের বিধিনিষেধ ছিল।

এর আগে, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ড্যাপের খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পরে ড্যাপ পর্যালোচনায় গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উদ্যোগে ২০ বছরের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে নতুন মহাপরিকল্পনাটি।

মঙ্গলবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গেজেটে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় রাজউকের আওতাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ২০২০ সালে ড্যাপের খসড়া প্রকাশ করা হয়। সেই খসড়ার ওপর সুপারিশ ও আপত্তি দাখিল করতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। দুই বছরের মাথায় এসে সেই আপত্তি ও সুপারিশ বিবেচনা করে মহাপরিকল্পনাটি অনুমোদন করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন ড্যাপ হওয়ায় ২০১০ সালে পাস হওয়া ড্যাপ রহিত হয়ে গেল। তবে এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশের আগপর্যন্ত ২০১০ সালের ড্যাপের অধীনে যেসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বৈধ বলে গণ্য হবে।

ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, নতুন ড্যাপে আবাসিক ভবনের উচ্চতা বা তলার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। শহরের বাসযোগ্যতার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।