রাশিয়া থেকে সার আনছে সরকার

রাশিয়া থেকে সার আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সার আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দেশটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আনা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তৃতীয় কোনো দেশের সমুদ্রবন্দর থেকে বাংলাদেশকে সার সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। এতে আগামী মৌসুমে দেশে পটাশ সারের চাহিদা পুরোপুরিই মেটানো যাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর ১ লাখ ৮০ হাজার টন পটাশ সার আমদানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এরমধ্যে ৬০ হাজার টন সার আমদানির পরই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় রাশিয়া। ওই যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়দের নানা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের সার আমদানিও বন্ধ হয়ে যায়।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার সার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতেই চুক্তির বাকি সার আমদানির পথ সুগম হয়েছে।  

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের দাম পেমেন্ট পদ্ধতিতে দেওয়া ও জাহাজের ইনস্যুরেন্স বিষয়ে কিছু জটিলতা ছিল। বিষয়টি সমাধানে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তবে সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী নির্ধারণ হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। এর প্রায় ৬০ শতাংশ রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে আমদানি করা হতো। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়া থেকে আমদানি বাধাগ্রস্ত হলে কানাডা থেকে সার আনার তৎপরতা চালায় বাংলাদেশ।

কানাডার সারের দাম তুলনামুলক একটু বেশি। দেশটি থেকে সার আনতে জাহাজ ভাড়াও অনেক বেশি পড়ে। তা সত্ত্বেও দেশে সারের চাহিদা মেটাতে কানাডা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন পটাশ আমদানির চুক্তি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কিন্তু চলমান ডলার সংকট মোকাবেলায় রাশিয়া থেকে সস্তায় সার, জ্বালানি তেল ও গম আমদানির উপায় বের করতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনার পরই আগের চুক্তির বাকি থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টন পটাশ সার আমদানির উদ্যোগ নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।