ঘড়ির কাঁটায় বাঁধা পড়ছে রাজধানীর ব্যবসা-বিনোদন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে শহর পরিচালনার পদ্ধতি সারা বিশ্বেই প্রচলন আছে। আমরা ঢাকা শহরকেও একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালনা করতে চাই। এর আগে ঢাকার কোনো সময়সূচি ছিল না, সেটিই আমরা করতে চাচ্ছি। গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পর সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

নতুন মাস থেকে দোকান ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমা বলবত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র

আজ শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি পাইলট রুটের বাস থামার স্থান পরিদর্শন শেষে মেয়র উপরের কথাগুলো বলেন।

মেয়র তাপস বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাতে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করছি সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বাত্মকভাবে আমাদের সহযোগিতা করবেন।

পূর্বঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওষুধের দোকান রাত ২টা পর্যন্তই খোলা থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ওষুধের দোকান বা ফার্মেসিকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় যেগুলো ফার্মেসি আছে তা রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্য হাসপাতালের সঙ্গে যেসব ফার্মেসি সংশ্লিষ্ট, সেগুলো রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এর আগে সোমবার রাজধানীতে কোন প্রতিষ্ঠান কতক্ষণ পর্যন্ত খোলা থাকবে সে বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মুল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাট আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার জন্য গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব দোকান পাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সব ধরনের রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান ও দোকানের রান্নাঘর রাত ১০টা এবং খাবার সরবরাহ রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। বিনোদনমুলক স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১১টায় এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।