সীমান্তে ধর্ষণের দায়ে দুই বিএসএফ সদস্য গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে। খবর পিটিআই।

বাংলাদেশ সীমান্তে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে দুই বিএসএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

বিএসএফের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ শনিবার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে বিএসএফের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবলকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ওই কর্মকর্তা বলেন, ২৬ আগস্ট শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর পরগণা জেলার বাগদহ সীমান্ত চৌকির কাছে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিম নারী অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টারত এক প্রতারক ও তার সঙ্গে থাকা নারীর পথরোধ করে। সে ওই নারীকে টেনে নিকটবর্তী মাঠে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। বিএসএফের একজন এএসআই অপরাধ সংঘটনে তাকে সাহায্য করে। পরবর্তীতে ওই নারী অভিযোগ করলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনা সম্পর্কে জানার পর আমরা অভিযুক্ত দুই বিএসএফ সদস্যকে আটক ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। দুইজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিএসএফ সদস্যদের এ কাণ্ডের পর পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গঠনকারী দল বিজেপির নতুন করে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের এখতিয়ার বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকার দুই বছর আগে নিয়েছে, মমতা ব্যনার্জির দল তৃণমূল গোড়া থেকেই তার বিরোধিতা করেছে।

বিএসএফের এ ধর্ষণকাণ্ডের পর এক টুইটে তৃণমূল বলেছে- ‘‘বিজেপির অপশাসনে আমাদের দেশ নারীদের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে। জনাব অমিত শাহ, আপনার অধীনস্ত বিএসএফ অফিসার ও জওয়ান এক নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং মুখ খুললে মারাত্মক পরিণতি হবে বলে তাকে হুমকি দিয়েছে। আদতেই আত্মনির্ভর ভারতের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত!’’

বিএসএফের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন- ‘‘তৃণমূলের এমন মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এরকম বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে পুরো বাহিনীর গায়ে কাদা লেপন করা যায় না। কেউ অপরাধ করে থাকলে আইন তার যথাযথ গতিতে চলবে।’’