নাসার চাঁদে যাওয়ার মিশনে হোঁচট

অপেক্ষার উত্তেজনা, আর মাত্র কিছুক্ষণ। তারপরই চাঁদের উদ্দেশে ছুটে যাবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নতুন প্রজন্মের রকেট আর্টেমিস। তবে শেষমুহূর্তে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাতিল করা হয় উড্ডয়ন। আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) চাঁদে ফেরার প্রথম মিশনে ধাক্কা খেয়েছে নাসা। খবর বিবিসি।

নাসার চাঁদে যাওয়ার মিশনে হোঁচট

অ্যাপোলো চন্দ্রাভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফের চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা। চাঁদের উদ্দেশে উড়াল দিতে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে প্রস্তুত ছিল নাসার পরবর্তী-প্রজন্মের রকেট আর্টেমিস। ওরিয়ন নামে একটি ক্যাপসুলকে পৃথিবী থেকে চাঁদে নিয়ে যাবে রকেটটি। স্থানীয় সময় সোমবার সোমবার ৮টা ৩৩ মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল।

তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ স্থগিত ঘোষণা করেন নাসার পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-টম্পসন।

রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে এমন কারিগরি ত্রুটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। সেটি ভেবেই আগে থেকেই আগামী ২ সেপ্টেম্বর ও ৫ সেপ্টেম্বর আরও দুটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে রেখেছে নাসা। তবে এখন ঠিক কবে রকেটটি উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে তা নিশ্চিত নয়।

নাসার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নাসার পরবর্তী প্রজন্মের রকেট আর্টেমিস-১-এর পরীক্ষামূলক অভিযান এটি। নাসার এই অভিযানে মানুষ থাকছে না। তবে ওরিয়ন ক্যাপসুলে ম্যানিকুইন থাকবে তিনটি। সেগুলোর সঙ্গে থাকবে বিকিরণ ও কম্পন রেকর্ড সেন্সর। রকেট থেকে আলাদা হয়ে ক্যাপসুল ওরিয়ন চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চলবে এই অভিযান। এরপর রকেটটির ১০ অক্টোবর পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরে রকেটটি নিক্ষিপ্ত হওয়ার কথা।

মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রাভিযানকে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন। নাসা আশা করছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ মহাকাশচারীদের মঙ্গল গ্রহে পাঠাবে তারা।

তার আগে নাসার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৪ সালে নভোচারীসহ চাঁদের কক্ষপথে রকেট পাঠানো। সেজন্য আর্টেমিস-২ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালে চাঁদের বুকে ফের মানুষ নামাতে চায় নাসা। সেজন্য প্রকল্পে রয়েছে আর্টেমিস-৩।

সম্প্রতি নাসার মহাপরিচালক পল মার্টিন বলেছিলেন, আর্টেমিস প্রকল্পের প্রতিটি ফ্লাইটে খরচ হবে ৪.১ বিলিয়ন ডলার।