ইঞ্জিনে আগুন, মার্কিন হেলিকপ্টার বহরের অবতরণ

হঠাৎ করে ইঞ্জিনে আগুন লাগায় মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বহর অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের মতে, অল্প সংখ্যক হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনে আগুনের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর চিনুক হেলিকপ্টারের পুরো বহর অবতরণ করেছে। বহরে ৪০০টি হেলিকপ্টার ছিল। খবর সিএনএন।

চিনুক হেলিকপ্টার

মার্কিন সেনাবাহিনীর বোয়িং এইচ-৪৭ চিনুক হেলিকপ্টারগুলোর কয়েকটিতে জ্বালানি লিক হওয়ায় ইঞ্জিনে আগুন লাগে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেন, পরিষেবাটি সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। জ্বালানি লিক বা ইঞ্জিনের আগুনের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কারও মৃত্যু ঘটেনি। সেনা সদস্যদের সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কঠোর সতর্কতার অংশ হিসেবে সাময়িকভাবে সেনাবাহিনীর চিনুক বহরের প্রায় ৪০০ হেলিপক্টার অবতরণ করানো হয়েছে। ‘চিনুক’ সেনাবাহিনীর ওয়ার্কহরস হেলিকপ্টার, যা ১৯৬০ সাল থেকে মার্কিন বিমান পরিষেবাতে রয়েছে। সংশোধনমূলক পদক্ষেপগুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আপাতত ওড়ানো হবে না বলে জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

স্মিথ বলেন, আমাদের সৈন্যদের নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিমানটি ওড়ার জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত কি-না তার সর্বোচ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যত সময় লাগে ততই ভালো। কারণ আমরা নিরাপদ যান ব্যবহারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।

চিনুক মার্কিন সেনাবাহিনীর একমাত্র হেভি-লিফ্ট কার্গো হেলিকপ্টার, যা যুদ্ধ এবং অন্যান্য জটিল অপারেশনে নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা হয়। এই শ্রেণির হেলিকপ্টারের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো টেন্ডেম রটার কনফিগারেশন। চিনুক হেলিপকপ্টারের ইতিহাসে বহু সফল অপারেশনাল ইভেন্ট রয়েছে। হেলিকপ্টারটির সিস্টেমে একাধিক সংস্কার ও আপগ্রেড করা হয়েছে।

সিএইচ-৪৭এফ চিনুকের সর্বশেষ সংস্করণগুলোর একটি। মার্কিন সেনাবাহিনীর মতে, নতুন সংস্করণের হেলিকপ্টারে প্রায় ২৫ হাজার পাউন্ডের সর্বাধিক পেলোড রয়েছে। হেলিকপ্টারটি নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য আকাশযানের মধ্যে ‘চিনুক’ হেলিকপ্টার বহুল ব্যবহৃত।