ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, আজ ঘোষণা

অবশেষে প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটেন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাসকে আজ সোমবার ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য যখন জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট, শিল্প অস্থিরতা এবং মন্দার মুখোমুখি, তখন ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস। রয়টার্স।

লিজ ট্রাস

সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর লিজ ট্রাস প্রত্যাশিত পদটি পেতে যাচ্ছেন। করোনা কেলেঙ্কারিতে গত জুলাই মাসে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দায়িত্ব পাওয়ার পর আগামীকাল মঙ্গলবার বিজয়ী লিজ ট্রাস রানী এলিজাবেথের সাথে দেখা করতে স্কটল্যান্ডে যাবেন।

লিজ ট্রাস ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর থেকে কনজারভেটিভদের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হবেন। দেশটি বর্তমানে গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে একটা দীর্ঘ মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। জুলাই মাসে ১০.১ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি আঘাত হানে।

বরিস জনসন

বরিস জনসনের অধীনে ৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ব্রিটেনের জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিল মোকাবেলা এবং ভবিষ্যতের জ্বালানি সরবরাহ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন তিনি।

গতকাল রোববার টিভি সাক্ষাৎকারে ট্রাস বলেন, আমার জ্বালানি পরিকল্পনা লাখ লাখ লোককে আশ্বস্ত করবে। যারা আশঙ্কা করছে শীতকাল ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জ্বালানি বিল পরিশোধ করতে অক্ষম হবে, তাদের জন্য সুখবর আছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করবেন এবং শুল্ক কমাবেন। ইনস্টিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ গত মাসে তার পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।

প্রবীণ রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা ডেভিড ডেভিস বলেন, ১৯৭৯ সালে রক্ষণশীল মার্গারেট থ্যাচারের পরে সম্ভবত লিজ ট্রাসই সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। তবে লিজ ট্রাস একটি শক্তিশালী মন্ত্রিসভা নিয়োগ করবেন বলে মনে করেন তিনি।