নাসিম শাহ: ব্যাটটা আমাকে দিন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন

গতকাল শারজায় ব্যাট হাতে নাসিম শাহ ম্যাচজয়ী কিছু করবেন, তেমন আশা কারোরই ছিল না। শেষ ওভারে যখন স্ট্রাইকে গেলেন তখনও আশা ছিল না। কারণ সব মিলিয়ে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলা নাসিমের নামের পাশে গতকালের আগ পর্যন্ত কোনো রানই ছিল না। সেই ব্যাটারের সামনে যখন শেষ ওভারে ১১ রানের টার্গেট, তখন কেইবা আশা করবে?

নাসিম শাহের ছক্কা

তারপরও তিনিই শেষ করে এসেছিলেন খেলা, প্রয়োজনীয় দুই বল খেলে, চার বল হাতে রেখে। পাশে থাকা হাসনানাইনের ব্যাটটি ধার নিয়ে আগেই তাকে বলেছিলেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। তারপর স্ট্রাইকে গিয়ে ১৯ বছর বয়সী নাসিম শাহ যা করলেন, তা ইতিহাস। অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়ে তিনি তখন ভারত, আফগানিস্তান সবার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন। ভাসছেন সতীর্থদের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে।

শেষ ওভারে ফজল হক ফারুকির প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে পাকিস্তানের সব টেনশন নিমিষেই শেষ করে দেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলটা লং অফের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যেতেই বাঁধভাঙা উল্লাসে ভেঙে পড়েন নাসিম শাহ। তার এই কীর্তিতে মুগ্ধ ভারতের প্রখ্যাত ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী ম্যাচ শেষে তাকে বলেন, আজ থেকে তো তুমি বোলার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে গেলে!

ব্যাট ফেলে নাসিম শাহের উল্লাস

ম্যাচ শেষে নাসিম বলেন, যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, তখন নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল দরকার হলে ছয় মারতে পারব। আমি এ ধরনের অনুশীলন করেছি। শেষ ওভার ধারণা করেছিলাম, আমাকে ইয়র্কার দেবে। ফিল্ডিংটাও সে মতোই সাজিয়েছিল। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে নেটে যা অনুশীলন করতাম, মাঠে সেটাই করেছি।

তবে নিজের ব্যাটটাকে ঠিক পছন্দ হচ্ছিল না। তাই শেষ ওভারের আগে নন-স্ট্রাইকে থাকা মোহাম্মদ হাসনাইনের সঙ্গে ব্যাট বদল করে নেন, ‘নিজের ব্যাটটা খুব একটা ভালো লাগছিল না। তাই হাসনাইনকে গিলে বললাম, আপনার ব্যাটটা আমাকে দিন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। চেষ্টা করেছি, বিশ্বাস ছিল, হয়ে গেছে।