আপনি পড়ছেন

জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। জেলহত্যা দিবসে নিজের বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিলাম। যে কক্ষে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই কক্ষেই আমি বন্দি ছিলাম। চার নেতার রক্তের দাগ এখনও মুছেনি। আমার পিতার শেষ নিঃশ্বাসের উত্তাপ আমি এখনও পাই। পিতার মুখ শেষবারের মতো দেখতে পারিনি।’

jail murder

বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার স্মৃতি নিয়ে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়োজিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মহাপ্রাণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা জীবনেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন, মরণেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বেঈমানি করে মীর জাফর বাংলার স্বাধীনতার সূর্যকে অস্তমিত করেছিলেন। যা ১৬ ডিসেম্বর বাংলার মাটিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ফিরে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার নির্দেশনায় চার নেতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সময় চার জনের সঙ্গে ছিল বিশ্বাসঘাতক মোশতাক। একাত্তর সালেও সে বেঈমানি করার চেষ্টা করেছিল। জাতীয় চার নেতার বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতার কারণে সে ব্যর্থ হয়েছিল।'

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিআইজির দায়িত্বে থাকা কাজী আব্দুল আওয়ালের ছেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী বলেন, ‘রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আমাদের বাসার টেলিফোনে কল আসে। আইজি প্রিজন নুরুজ্জামান সাহেব বাবার সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর বাবা আর ঘুমাননি। কাপড় পড়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী হয়েছে। বাবা জানিয়েছিলেন, ‘আইজি সাহেব ডেকেছেন। অফিসের কাজে যেতে হবে।’ পরদিন সকালে কয়েদিসহ কয়েকজন আমাদের বাসায় আসল। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, চার নেতাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ওইদিন সেনা সদস্যরা বারবার জানতে চাচ্ছিল, চারজন কোথায়। জেল কর্তৃপক্ষ কী দরকার জানতে চাইলে বলে, শ্যুট করবো। এই শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। অবশেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়। তখনকার সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন মোশতাক। তার সঙ্গে আইজি প্রিজন কথা বললে তিনি বলেন, ওরা মারতে গেছে মারুক, আপনি কী করবেন। চার জনকে এক কক্ষে নিয়ে এসে ব্রাশ ফায়ার করা হয়। এরপর সেনা সদস্যরা বেরিয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় চার নেতার কেউ একজন কঁকিয়ে ওঠেন। শব্দ শুনে ওরা আবার ফিরে এসে সবাইকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।'

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘর’ ও ‘জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘর’ ঘুরে দেখা ও দুর্লভ ১৪৫টি ছবি নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনী চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনী উপলক্ষে সকল দর্শনার্থী কারাগার অভ্যন্তরে প্রথমবারের মতো প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। তিনটি সেশনে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা প্রথম, দুপুর ১টা থেকে ৩টা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেশনে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। কারাগারে প্রবেশ করতে জনপ্রতি টিকিটের দাম ১০০ টাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নার্গিসের ওপর হামলার চার্জশিট আগামী সপ্তাহে

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স: ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দিলেই কঠোর ব্যবস্থা

গুলশান হামলার অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেফতার

সমাবেশ করার অনড় অবস্থান থেকে সরে এলো বিএনপি

সদ্য বিদায়ী বিজিবি মহাপরিচালককে পদোন্নতি

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.