পরপর তিন শহরে ব্যাকফুটে রুশ বাহিনী

ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে দোনেৎস্ক অঞ্চলের তিনটি শহরে ব্যাকফুটে চলে গেছে রুশ বাহিনী। বালাকলেয়া শহর হাতছাড়া হবার পর রুশ সৈন্যরা ইজিউম ও ক্রাসনি-লিমানেও নিজেদের অবস্থান ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর কুপয়ানস্কে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।

ক্রাসনি-লিমান শহরের কাছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে

ইউক্রেনীয় চ্যানেলগুলোর খবরে জানা গেছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় খারকিভ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন। বালাকলেয়া ও ভরলভকা পুনর্দখলের পর ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে জোরালো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। এজন্য দুটি ফ্রন্টে আগে থেকে বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র সমাগম করেছে স্থানীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের সাংবাদিক নাতালিয়া গুমেনিউক জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কয়েক শত বর্গকিলোমিটার জায়গা পুনর্দখল করেছে। ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে আগুয়ান ইউক্রেনীয় বাহিনীর সংখ্যাধিক্য দেখে রুশ সৈন্যরা পিছু হটছে। এখন শুধু খারকিভ অঞ্চলে নয়, খেরসনেও কয়েকটি জায়গায় আক্রমণের পথে রয়েছে ইউক্রেনীয়রা।

সামরিক প্রতিবেদক আলেক্সান্ডার কশ জানিয়েছেন, ইজিউম ও লুহানস্কের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত কুপয়ানস্ক থেকে রুশ সৈন্যদের একাংশকে ওসকল নদীর পূর্বদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দোনেৎস্ক সীমান্তের কাছের ইজিউম শহরেও রুশ বাহিনী চাপের মুখে রয়েছে। শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ অবস্থানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে।

এদিকে ইউক্রেনের একটি সৈন্যদল সেভেরস্কি-দোনেৎস নদীপথে অগ্রসর হয়ে রাশিয়া সীমান্তের কাছে ভলচানস্ক এলাকায় তীরে উঠেছে। ভলচানস্ক থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রুশ বাহিনীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা বলছেন, সুবিধাজনক স্থানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে খারকিভের কয়েকটি ফ্রন্ট থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রুশ বাহিনীর জনবল ক্ষয় এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান।

জানা গেছে, ক্রাসনি-লিমান শহরের কাছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থানের কাছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমাণ রেখেছে। গত ৪৮ ঘন্টায় খারকিভ অঞ্চলে েইউক্রেনীয় বাহিনীর ভূখণ্ডগত সাফল্য এসেছে বিপুল রক্ষক্ষয়ের বিনিময়ে। খারকিভের হাসপাতালগুলোতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। খারকিভ ফ্রন্টে আহত অনেক সৈন্যকে চিকিৎসার জন্য কিয়েভে নেওয়া হয়েছে।