রাশিয়ায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ মস্কো সফর করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের জন্য তিনি রুশ সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গেছেন। হামাসের এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ইসমাইল হানিয়াহর নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মস্কো সফর করছে

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসমাইল হানিয়াহর নেতৃত্বে সফররত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আরুরি, পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক ও মেহের সালাহ রয়েছেন।

হামাস প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনো স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পারস্পরিক সম্পর্ক ও ফিলিস্তিনে বিদ্যমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে রাজনৈতিক সংলাপের জন্য রাশিয়ার আমন্ত্রণে সংগঠনের প্রতিনিধিনদল মস্কো সফরে গেছে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চে মস্কো সফর করেন ইসমাইল হানিয়াহ। সেবার তিনি ইসরায়েলের স্বার্থরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রুশ সরকারের প্রশংসা করেন।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে সে সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে তার স্বঘোষিত ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ (ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি) প্রকাশ করেন। কথিত চুক্তিটি রুশ সরকার প্রত্যাখ্যান করার পর ইসমাইল হানিয়াহ মস্কো সফরে যান।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। ট্রাম্পের চুক্তিটি রাশিয়া যেভাবে নাকচ করেছে, তার সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনমতের মিল রয়েছে।

ট্রাম্পের চুক্তিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিষিদ্ধ করার কথা ছিল। একইসঙ্গে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী করার এবং পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকাকে দখলদার রাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব ছিল। ফিলিস্তিনের সবকটি পক্ষ ট্রাম্পের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। রুশ সরকারও প্রস্তাবটি নাকচ করেছিল।