অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে জিতল টাইগাররা

টানা দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়। চলতি মাসের শুরুতে শূন্য হাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেছিল সাকিব আল হাসানের দল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা হারের মিছিলে ছিল বাংলাদেশ দল।

আফিফ হোসেন

জয়ের সন্ধানে আবারও সেই মরুর বুকে গিয়েছে টাইগাররা। এবার বাংলাদেশের পিপাসার্ত ক্রিকেট হৃদয় জয়ের দেখা পেয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্ত ভেঙেছে দলটি। র‌্যাংকিংয়ের ১৪ নম্বর, আইসিসি সহযোগী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এসেছে স্বস্তির জয়। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আমিরাতকে ৭ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।

শক্তিমত্তা, অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের স্বস্তি এসেছে ব্যাটিংয়ে আফিফ হোসেন ও বোলিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে। তাদের পারফরম্যান্সেই টপ অর্ডারে বাজে ব্যাটিং, ক্যাচ মিস, মিস ফিল্ডিংয়ের পরও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।

দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছিল। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত। একই ভেন্যুতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

টসে হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ ইনিংসের ১১তম ওভারে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন আফিফ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ৫৫ বলে ৭৭ রান (৭ চার, ৩ ছয়) করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সোহান ২৫ বলে ৩৫ রান (২ চার, ২ ছয়) করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া মিরাজ ১২, লিটন ১৩ রান করেন।

আমিরাতের ব্যাটসম্যানদের তোপ সামলাতে পারেননি মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনরা। আক্রমণের মন্ত্রে সফল ছিল স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। তাদের অগ্রযাত্রাকে বারবার থমকে দিয়েছেন মিরাজ। রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচ নেওয়ার সাথে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই অফস্পিনার ৩ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন। শরীফুল ৩টি, মুস্তাফিজ ২টি উইকেট নেন।

আমিরাতের চিরাগ সুরি ৩৯, আফজাল খান ২৫, আরিয়ান লাকরা ১৯, আরভিন্দ ১৬, ওয়াাসিম ১৫, মেয়াপ্পান ১২, জুনায়েদ ১১ রান করেন। আফিফ ম্যাচসেরার পুরস্কার পান।