আমিরাত থেকে শুধুই জয় নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ!

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্তে ছিল বাংলাদেশ দল। হন্যে হয়ে জয় খুঁজছিল দলটা। মরুর বুকে সেই প্রশান্তি ফিরে পেয়েছে টাইগাররা। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। আপাত চোখে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের রথে ফেরা, আমিরাতের বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জয়ের স্বস্তি সঙ্গী হয়েছে টাইগারদের।

আমিরাত থেকে শুধুই জয় নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ!

কিন্তু দুটি ম্যাচের গভীরে, বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দৃষ্টিপাত করলে বলতেই হয় আমিরাত থেকে সোহানরা শুধু জয় নিয়েই ফিরছেন! কারণ পারফরম্যান্সে বলার মতো কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি। বুধবারই দেশে ফেরার কথা রয়েছে ক্রিকেটারদের।

প্রতিপক্ষ ছিল আইসিসি সহযোগী আরব আমিরাত দল, র‌্যাংকিংয়ের ১৪ নম্বর দল তারা। এমন দলটাও কিনা কাঁপিয়েছে বাংলাদেশকে। দুই ম্যাচে তাকালে বলতেই হবে, শুধু অভিজ্ঞতা, স্কিলের কিছু পার্থক্যের কারণে সিরিজটা জিতে গেছে বাংলাদেশ।

অনভিজ্ঞতার কারণে মূলত হেরেছে আমিরাত। তবে দুই ম্যাচেই আমিরাতের দলটা বুঝিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেটের মানচিত্রে বাংলাদেশ খুব দূরে নয় তাদের থেকে।

দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা কেউ আমিরাতের বোলারদের উপর চড়াও হতে পারেননি। টি-টোয়েন্টির আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি। বোলাররাও কেউ দুর্বোধ্য হয়ে ধরা দেননি। সব মিলিয়ে পারফরম্যান্সে সন্তোষজনক কিছু নেই।

মঙ্গলবার যেমন দারুণ ভিত পেয়েও স্লগ ওভারে নিস্তেজ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিকটু। হাতে আছে ৫ উইকেট, তারা দুজন স্লগ ওভারে আমিরাতের বোলারদের আক্রমণ করতে ব্যর্থ হন। তাই শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৪৩ রান করতে সমর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ।

দুবাই স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ রানের পর মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরাতকে ৩২ রানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। সিরিজটা ২-০ তে জিতেছে টাইগাররা।

আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। মিরাজ ৪৬, সাব্বির ১২, লিটন ২৫, আফিফ ১৮, মোসাদ্দেক ২৭, ইয়াসির অপরাজিত ২১, এবং নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ১৯ রান করেন।

জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি যেতে পারেনি আমিরাত। ২৯ রানে ৪ উইকেট পতনের পরও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। রিজওয়ান ও বাসিল হামিদ পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন। রান-বলের দূরত্ব বেশি হয়ে পড়ায়, তাদের চেষ্টা সফলতা পায়নি। বাসিল ৪২, রিজওয়ান অপরাজিত ৫১, ওয়াসিম ১৮, জাওয়ার ফরিদ অপরাজিত ৮ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক ২টি, তাসকিন, এবাদত, নাসুম ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন মিরাজ।