আপনি পড়ছেন

যুদ্ধের শুরু থেকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ের বড় অবলম্বন ছিল তুরস্ক থেকে কেনা বাইরাকতার টিবি-২ ড্রোন। প্রথম কয়েক মাস ড্রোন হামলা সহ্যের পর ইরানের শরণাপন্ন হয় রাশিয়া। পরপর ছয়টি চালানে তেহরান থেকে আনুমানিক ৯০০ ড্রোন কেনে মস্কো। এর প্রেক্ষিতে ইরানের শাহেদ-১৩৬ ও মোহাজের-৬ ড্রোনে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের কাছ থেকে এন্টিড্রোন সিস্টেম কিনছে। এর ফলে রণাঙ্গনে মুখোমুখি হচ্ছে ইরান ও ইসরায়েলের প্রযুক্তি। 

iran russia droneরণাঙ্গনে ড্রোন ওড়াচ্ছেন রুশ সেনাবাহিনীর এক সদস্য

গত মঙ্গলবার উপর্যুপরি ড্রোন হামলায় ওডেসায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড, নৌবাহিনীর সদর দপ্তরসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ওইদিন ওডেসায় একটি মোহাজের-৬ ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানায়। এরপর গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলের লাইসেন্সকৃত ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার কথা জানায় ইউক্রেন।

তবে ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই সেদেশের একটি কোম্পানি ইউক্রেনের কাছে এন্টি-ড্রোন সিস্টেম বিক্রি করছে। পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেন পৌঁছছে এসব প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেদেশের অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রিতে বারণ করলেও লাভজনক চুক্তি বিধায় তেল আবিব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও দেখছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

টাইমস অব ইসরায়েলের হিব্রু সংস্করণ জামান ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের একটি প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহকারী কোম্পানি পোল্যান্ডের মাধ্যমে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছে এন্টিড্রোন সিস্টেম সরবরাহ করছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির একটি সূত্র বলেছে, ইউক্রেনে ‘অগ্রসর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি’ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পোল্যান্ডের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে।

এন্টিড্রোন সিস্টেম বিষয়ক চুক্তিতে পোল্যান্ড মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কি-না এবং অস্ত্রগুলো কিয়েভের কাছে স্থানান্তর করছে কি-না, সে বিষয়ে কোম্পানিটি অবহিত নয় বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্প সূত্রগুলো জানিয়েছে, মনুষ্যবিহীন উড়োযানের চলাচল ব্যাহত করতে সক্ষম এন্টিড্রোন সিস্টেমকে ‘অগ্রসর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে ইউক্রেনে এসব প্রযুক্তি বিক্রিতে বারণ রয়েছে। গাজা, লেবানন ও সিরিয়া সীমান্তে এসব প্রযুক্তি মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।

সূত্র জানায়, ইসরায়েলি কোম্পানির মধ্যে এলবিট, ম্যাকটেক, স্পিয়ার, আভনন গ্রুপ ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এন্টি-ড্রোন সিস্টেম প্রস্তুত করছে। ইউক্রেনের পাশাপাশি আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা বাহিনী আর্মেনিয়ার সঙ্গে সংঘাতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ ইসরায়েলি এন্টিড্রোন সিস্টেম কিনেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউক্রেনের কাছে মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বিক্রির জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর উপস্থিতির কারণে ইসরায়েল মস্কোকে ক্ষেপাতে চায়নি এবং মার্কিন প্রস্তাবেও রাজি হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ কিয়েভের কর্মকর্তারা তাদের কাছে সরাসরি অস্ত্র বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় ইসরায়েলের ওপর বিরক্ত হয়েছেন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.