ইউক্রেনে অস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাবে জার্মান পার্লামেন্টের ‘না’

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে জার্মান পার্লামেন্ট। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যালিস্ট ইউনিয়নের (সিএসইউ) আনীত একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৯ জন এমপি। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৭৬ জন। একজন সদস্য ভোট দানে বিরত ছিলেন। খবর রয়টার্স।

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করেছে জার্মান পার্লামেন্ট

এর আগে পার্লামেন্ট ফ্লোরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ‘ইউক্রেনে জার্মান সামরিক সহযোগিতার মান ও পরিমাণ অবিলম্বে বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ প্রস্তাবকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন ক্ষমতাসীন জোটের অন্তর্গত সোশ্যাল ডেমোক্রটিক পার্টির (এসডিপি) এমপি রালফ স্ট্যাগনার।

অন্যদিকে সিডিইউ/সিএসইউ পার্লামেন্টারি গ্রুপের সহ-সভাপতি জোহান ভাডেফুল বলেছেন, রাশিয়া আংশিক সৈন্যযোজনের ঘোষণা দেওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য নির্ধারক সহযোগিতা জোগানো জরুরি। এজন্য অতিরিক্ত অস্ত্র যেমন সাঁজোয়া যান, ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল, ট্যাঙ্ক ইত্যাদি সরবরাহ করা প্রয়োজন।

অস্ত্র সরবাহ ইস্যুতে এরইমধ্যে জার্মানির সঙ্গে ইউক্রেনের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বারবক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লেমব্রেখটসহ বার্লিনের একাধিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের পক্ষে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান নিলেও ট্যাঙ্ক ও কয়েকটি বিশেষ ধরনের ভারী অস্ত্র সরবাহে তারা আপত্তি জানিয়ে আসছেন। এখন পর্যন্ত ন্যাটো জোটের কোনো দেশ ইউক্রেনকে পশ্চিমা ঘরানার ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেনি, এটাই তাদের যুক্তি। 

ভারী অস্ত্র সরবরাহে আপত্তির কারণে জার্মানিকে কটাক্ষ করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজসহ জার্মানির পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারনে বার্লিনে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে জার্মান পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছে। খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে বলেছেন, নিজেদের নাৎসি অতীতের কারণে জার্মানরা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে দ্বিধান্বিত বোধ করছে। 

এদিকে পৃথক খবরে জানা গেছে, মার্কিন সিনেট আজ সকালে (ওয়াশিংটন সময় বৃহস্পতিবার রাতে) ইউক্রেনকে ১ হাজার ২৩৫ কোটি ডলার অতিরিক্ত সাহায্যের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৭৮০ কোটি ডলার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হবে। অবশিষ্ট অর্থ দেশটিকে বাজেট-সহায়তা দেওয়া হবে।