আপনি পড়ছেন

চীনের প্রথম অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি জেটলাইনার, সি৯১৯ সরকারি কর্তৃপক্ষের ফিট-টু-ফ্লাই সার্টিফিকেট পেয়েছে। চীনের এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাসের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

china c919চীনের সি৯১৯

কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন অব চায়নার (কোম্যাক) তৈরি বিমানটি এ পর্যায়ে আসতে প্রায় ১৪ বছর সময় লেগেছে। ১৬৮ সিট, একক-আইল ও মাঝারি দূরত্বের এ বিমান বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স এবং এয়ারবাসের এ৩২০নিও মডেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বোয়িং ও এয়ারবাস ৫০ বছর ধরে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা ফিট-টু-ফ্লাই সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি চীনই একমাত্র দেশ, যারা বড় যাত্রীবাহী বিমান তৈরি করতে সক্ষম।

boeing airbusবোয়িং ও এয়ারবাস

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে গত শুক্রবার সি৯১৯ প্রকল্প দলের প্রতিনিধিরা সাক্ষাত করেন। এ সময় শি বিমানের এই অগ্রগতির প্রশংসা করে চীনকে একটি উৎপাদনশীল পাওয়ারহাউসে পরিণত করার আহ্বান জানান।

প্রতিনিধি দলকে শি আরও বলেন, বিমান তৈরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা সবার আগে আসা উচিত। এ কারণে এর সমস্ত নিরাপত্তাজনিত ঘাটতি দূর করতে হবে।

সি৯১৯ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ২০১৭ সালে সফলভাবে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল এবং এই বছরের শেষ নাগাদ এ সিরিজের যাত্রীবাহী বিমান সরবরাহ করা হবে।

ফ্লাইট পরিচালনা করার সনদ পেলেও এখনো অনেক পথ যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের একজন শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ।

অ্যাভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এইচটিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনের সিভিল এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর লি জিয়াওজিন বলেছেন, এ সনদ কেবলই প্রথম পদক্ষেপ। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। জ্বালানি খরচ, অবচয় খরচ, লিজিং খরচ ও বিমানবন্দর খরচ সবই বিমানের সাথে সম্পর্কিত। এ খরচগুলো কিভাবে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।

লি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখ করেন, ভারতের মতো চীনও ১৪০ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশ এবং ভবিষ্যতে বড় বিমানের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বোয়িং জানিয়েছিল আগামী ২০ বছরে চীনের আট হাজার ৭০০টি নতুন বিমানের প্রয়োজন হবে, যার মূল্য এক লাখ ৪৭ হাজার কোটি ডলার।

অন্যদিকে চীনা কোম্পানি কোম্যাক এক ভবিষ্যদ্বাণীতে জানায়, চীনের বাজারে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০টি বা তার বেশি আসনসহ নয় হাজার ৮৪টি বিমান থাকবে, যা বিশ্বের মোট বিমানের ২২ শতাংশ। এ ব্যাপক চাহিদা নিয়ে চীন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদেশি বিমান আমদানির ওপর নির্ভর করতে পারে না।

বর্তমানে সি৯১৯ এর গ্রাহক সংখ্যা ২৮। যারা এ পর্যন্ত মোট ৮১৫টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.