আপনি পড়ছেন

যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাকিস্তানকে ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবে। অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া বুঝতে আগ্রহী পাকিস্তানের জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস। কূটনৈতিক সূত্রগুলো এ কথা জানিয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

oil seaborne tlsd সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন ও বীমাকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলো

যুক্তরাষ্ট্র, শিল্পোন্নত দেশগুলোর ফোরাম জি ৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন, বীমাকরণ ও অন্যান্য সেবার উপর ৫ ডিসেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার তেলজাত পন্য পরিবহন ও বীমাকরণের ওপর একই রকম নিষেধাজ্ঞা বলবত হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র, জি ৭ ও ইইউর বেঁধে দেওয়া মূল্যসীমার চেয়ে কম দামে রাশিয়া থেকে কেনা অপরিশোধিত তেল ও তেলজাত পন্যের চালান এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। কি ধরনের চালানকে কোন প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা যায়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফর্মুলা সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী জোটের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইসলামাবাদের সূত্রগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তান যেহেতু জ্বালানি সংকট ও মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় এরইমধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং মস্কোকে এ বিষয়ে চুক্তির অনুরোধ করেছে, সেজন্য মার্কিন দূতাবাস পাকিস্তানি সরকারকে নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রক্রিয়া অবহিত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন ভাষ্যমতে, মূল্যসীমা আরোপের উদ্দেশ্য হলো তুলনামূলক সস্তায় বিশ্ববাজারে রুশ তেলের সরবরাহ চালু রাখা ও ক্রেমলিনের রাজস্ব আয় কমানো। মূল্যসীমার কারণে প্রধানত আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো লাভবান হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, মুল্যসীমা মোকাবেলায় রাশিয়ার সামনে তিনটি বিকল্প থাকছে- তারা আরোপিত মূল্যসীমার মধ্যে তেল বিক্রি করবে অথবা মূল্যসীমার চেয়ে বেশি দামে বিকল্প বাজারে তেল বিক্রি করবে অথবা তেল বিক্রি বন্ধ রাখবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিকল্পটি যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য নয়, তৃতীয়টি সম্ভব নয়।

সূত্র জানায়, মূল্যসীমাকে ঘিরে উদ্বেগের কারণে রাশিয়া এরইমধ্যে ৩০ শতাংশ অথবা তার চেয়ে বেশি মূল্যছাড়ে তেল বিক্রির শর্তে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চাইছে। রাশিয়া থেকে কেনা তেলের চালানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ মূল্যসীমা আরোপকারী জোটের কোনো দেশের বীমা, ব্রোকারেজ অথবা বাঙ্কারিং কোম্পানির সেবা নিতে হলে ক্রেতা দেশকে আরোপিত মূল্যসীমার চেয়ে কম দামে ওই চালান কিনতে হবে।

রাশিয়ার তেল ক্রয়ে মূল্যসীমা যথাযথভাবে অনুসৃত হচ্ছে কিনা তা নজরদারি ও প্রত্যয়ন করবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফাইন্যান্সিয়াল এসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য হলে ও মুল্যসীমা লঙ্ঘন হলে ওএফএসির পক্ষ থেকে আমদানিকারক দেশের সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবহিত ও সতর্ক করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলো এখনও রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ করেনি। তারা চাইছে মূল্যসীমা নির্ধারণের আগে সম্ভব হলে তেল আমদানিকারক দেশগুলোকেও দলভুক্ত করতে। কোনো আমদানিকারক মূল্যসীমা আরোপকারী জোটে অন্তর্ভুক্ত না হলেও কম মূল্যে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ নিতে পারবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।

মূল্যসীমা আরোপের আগে পাকিস্তান যদি ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়ার তেল কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি আছে কিনা তা জানতে চেয়েছিল ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জবাবে মার্কিন কর্মকর্তারা যা বলেছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো কোনো আপত্তি আছে বলে মনে হয়নি। মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি স্পষ্ট শুনে নিতে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসও এমন বৈঠকে আগ্রহ দেখিয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.