বিতর্কিত সীমান্তে ভারতীয় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

ভারত-চীন বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ভারতের একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে হেলিকপ্টারের পাইলট নিহত ও অপরজন আহত হয়েছেন। বুধবার অরুণাচলের বিতর্কিত সীমান্ত লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি রুটিন ফ্লাইট ছিল। খবর এএফপি।

বিতর্কিত সীমান্তে ভারতীয় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

খবরে বলা হচ্ছে, ভারত-চীন বিতর্কিত তোয়াং সীমান্তের ১৬ কিলোমিটার অভ্যন্তরে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এলাকায় চিতা নামের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। লাইনটি দুদেশকে বিভক্ত করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারে থাকা দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু একজনের আগেই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা কেন ঘটল তা তদন্ত করা হচ্ছে। নিছক দুর্ঘটনা না নাশকতামূলক কোনো কিছু আছে- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

১৯৬২ সালে অরুণাচলের ওই বিতর্কিত সীমানায় ভারত-চীন যুদ্ধ হয়। দুদেশই পুরোদমে যুদ্ধে লেগে পড়ে। এই অঞ্চলটিকে তীব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। তবে ভারত তা মানতে রাজি নয়। এ কারণে সারাবছর এই সীমানায় একপ্রকার উত্তেজনা বিরাজ করে।

এদিকে সেনা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে ২০২০ সালের এক যুদ্ধে ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়েছিল। যদিও উভয়পক্ষই বিজয় দাবি করেছিল।

চলতি বছরে এনিয়ে দুটি চিতা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলো। বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এরআগে গত মার্চ মাসে উত্তর কাশ্মিরের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি টহল হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত ও চীন লাইন অব অ্যাকচুয়া কন্ট্রোল বরাবর পূর্ব লাদাখে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর থেকে উভয়পক্ষ এ অঞ্চলে পাঁচটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করেছে।

ভারতের দাবি, বিতর্কিত এই সীমান্তে চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ কয়েক দশকের শান্তি বিঘ্নিত করেছে।