নোবেল প্রাইজ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান সাহিত্য পুরস্কার। বিগত কয়েক বছরের নোবেল ইতিহাসের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করেও কেউই সঠিকভাবে বলতে পারবে না এবারের বিজয়ী হবেন কে? ১২১ বছর ধরে সুইডিশ একাডেমির দাবি, বিশ্বের সেরা লেখাকেই তারা সম্মান জানাতে চেয়েছে। অপরদিকে ১২১ বছর ধরেই সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এমন কিছুই করতে পারেনি। তারপরেও সাহিত্যের নোবেল নিয়ে সাহিত্যানুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।

nobel prize 2চলতি বছর কোনো নারী লেখক নোবেল প্রাইজ পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ২০২২ সালের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি বছর কোনো নারী লেখক নোবেল প্রাইজ পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কারণ ৩ বছর আগে সুইডিশ একাডেমি নোবেল প্রাইজের ক্ষেত্রে নতুন মানদন্ড নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সাহিত্যবিষয়ক এই পুরস্কারটিকে আরো বৈশ্বিক করার এবং লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল।

১৯০১ সাল থেকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬ জন নারী লেখক এই পুরস্কারটি পেয়েছেন। অপরদিকে মর্যাদাবান এই পুরস্কার পাওয়া পুরুষ লেখকের সংখ্যা ১০২ জন। নারী-পুরুষের এই বৈষম্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সুইডিশ একাডেমি।

বিগত বছরগুলোর নোবেলজয়ীদের দেখলেই তা বুঝা যায়। ২০১৮ সালে যৌন কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর একাডেমি দুই জন নারী এবং দুই জন পুরুষকে নোবেল দিয়েছে। এরা হলেন- ওলগা তোকারচুক (২০১৮), পিটার হ্যান্ডকে (২০১৯), লুইস গ্লাক (২০২০), আব্দুলরাজাক গুরনাহ (২০২১)।

স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায়, এবার হয়তো কোনো নারী লেখকই পেতে যাচ্ছেন মর্যাদাবান এই পুরস্কার। যদি তাই হয় তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েস ক্যারল ওটস, ফ্রান্সের অ্যানি এরনাউ এবং মারিসি কঁদে এই বছর নোবেল পেতে পারেন।

এছাড়া রুশ লেখক লুদমিলা উলিতস্কায়া’র নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুতিনের কট্টর সমালোচক এই লেখক। ৭৯ বছর বয়সি লুদমিলা যদি নোবেল পেয়ে যান, তাহলে তার মাধ্যমে মস্কোকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সাহিত্যের নোবেলেও রাজনীতির ছায়া পড়তে যাচ্ছে।

এদিকে কানাডার কবি মার্গারেট অ্যাটউডের নোবেল জয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। নারীবাদী এই লেখকের নাম বেশ কয়েক বছর ধরেই সম্ভাব্য নোবেলজয়ীর তালিকার উপরের দিকেই অবস্থান করছে। 

সূত্র: এএফপি