ন্যাটো দেশগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার

ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া, এর প্রেক্ষিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ন্যাটো বাহিনী। সামরিক জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বৃদ্ধি ন্যাটো ও মিত্রদেশগুলোর জন্য হুমকি। খবর রয়টার্স।

ইউক্রেনের লভিভে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিদ্যুৎহীন শহর

রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দ্বিতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে আঘাত হেনেছে। যদিও গত সোমবারের চেয়ে পরবর্তী হামলার তীব্রতা কম ছিল। আগের দিনের বিমান হামলায় ১৯ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি আহত হয়। হামলায় পুরো ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ ইউক্রেনে সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে জি-৭ দেশের নেতারা। রাশিয়াকে তার ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বেলারুশ।

রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনে হামলা করায় পশ্চিমা দেশগুলোতে আতঙ্ক বেড়েছে। এছাড়া রাশিয়া ইতোমধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দিয়েছে। ইউরোপীয় একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলো শিগগির একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করার কথা বিবেচনা করছে।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার পারমাণবিক পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে ন্যাটো। কিন্তু রাশিয়ার মনোভাবে কোনো পরিবর্তন ন্যাটো দেখতে পাচ্ছে না।

এর আগে বাল্টিক সাগরের তলদেশে গ্যাস পাইপলাইনে নাশকতার পর পশ্চিমা দেশগুলো তাদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশগুলো মনে করে, রাশিয়া হামলার চেষ্টা চালালে তা শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। এজন্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাম্প্রতিক গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে চলতি বছরের শুরু থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু হয়। যুদ্ধ এখন সাত মাসে গড়িয়েছে। পুতিন বাহিনী চারটি অঞ্চল দখল করে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করেছিলেন পুতিন।