হোয়াইটওয়াশের মুখে অস্ট্রেলিয়া

আগের ম্যাচে ২০৮ রান তাড়া করতে গিয়ে দুশোর গণ্ডি ছুঁয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অথচ আজ পূর্ণশক্তির দল নিয়ে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল না স্বাগতিক দল। রান তাড়ায় আস্কিং রেটের চাপে শেষ হয়ে যায় অজিরা। শেষ পর্যন্ত অ্যারন ফিঞ্চের দল হেরেছে ৮ রানে।

অস্ট্রেলিয়ার আরো একটি উইকেটের পতনের পর উদযাপনে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড। আজ ক্যানবেরায়

ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ছয় উইকেটে ১৭০ রান তুলতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করে ফেলল জস বাটলারের দল। শুক্রবার একই ভেন্যুতে হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন ডেউইড মালান ও মঈন আলি। নবম ওভারে ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এই দুজনই দলকে পথ দেখান। পঞ্চম উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। জুটি ভাঙে মঈনের বিদায়ে। তিনি ফেরেন ২৭ বলে ৪৪ রান করে।

৪৯ বলে ৮২ বলে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন মালান। বিস্ফোরক ইনিংস তিনি সাজান সাত চার ও চার ছক্কায়। এ ছাড়া অধিনায়ক ও ওপেনার বাটলার ১৩ বলে ১৭ রানে ফেরেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস। দুই উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। একটি করে শিকার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের।

কঠিন রান তাড়ায় শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২২ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। একদিকে উইকেটের রাশ টেনে ধরার চ্যালেঞ্জ অন্য দিকে আস্কিং রেটের চাপ- এই দুইয়ে মিলে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ২৯ বলে ৪৫ এবং টিম ডেভিড ২৩ বলে ৪০ রানে আউট হন।

এ ছাড়া ফিঞ্চ ১৩ বলে ১৩, স্টয়নিস ১৩ বলে ২২, ম্যাথু ওয়েড ১০ বলে ১০* এবং কামিন্স ১১ বলে ১৮* রানের ইনিংসে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। শেষ তিন ওভারে ৩৪ রানের সমীকরণ থাকলেও লড়াইয়েই ছিল অজিরা। ১৮তম ওভারে ডেভিড আউটের পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের পক্ষে তিন উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারান। একটি করে শিকার বেন স্টোকস, রিস টোপলি ও ডেভিড উইলির। তবে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন মালান।