ডেঙ্গু: ঢাকায় আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি!

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এডিস মশার কামড়ে হওয়া এ রোগটিতে আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। সারাদেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকার মধ্যে আবার তিন এলাকা- মিরপুর, উত্তরা ও মুগদায় মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ঢাকার পরই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কক্সবাজারে। এ নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো।

ঢাকার হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬৫ জন। ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮ জন। এ নিয়ে গত সাড়ে নয় মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৩ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯৭ জন ঢাকার এবং ২৬৮ জন ঢাকার বাইরের।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবির জানান, সারাদেশের মধ্যে এবার ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে সবেচেয়ে বেশি। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী কক্সবাজারে।

তিনি বলেন, ঢাকার তিন এলাকা থেকে বেশি আসছে ডেঙ্গু রোগী। ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি আসছে মিরপুর, উত্তরা ও মুগদা এলাকা থেকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ২৬৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ১৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৭৮০ জন। 

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গুরোগীর ব্যাপক চাপ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গুরোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে । শয্যা খালি না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতেও রোগী রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুসহ সব বয়সের নারী-পুরুষই এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৮২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০৪ জন। চলতি অক্টোবর মাসের ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৯০ জন।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। দেশে চলতি বছর তিন ধরনের ডেঙ্গুর সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি এবং মৃত্যু কিছুটা বেশি হওয়ার পেছনে একাধিক ধরনের সক্রিয়তা দায়ী।