আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর রোববার অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে। আগের সাত আসরেই খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার অষ্টম আসরেও পদচারণা থাকছে টাইগারদের। ক্ষুদে সংস্করণের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের বলার মতো অর্জন কম। গত সাত আসরে অংশ নিয়ে ৩৩ ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের দল। যার মধ্যে জয় মাত্র ৭টি। আর হার ২৫টি। ২০১৬ সালের আসরে বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।

t20 world cup 1আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এর বাইরে অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। যদিও সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল অবিশ্বাস্য। প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। বিস্ময়ের সেই ঘোর কাটতে সময় লাগেনি। কারণ পরের তিন আসরেই কোনো জয় পায়নি টাইগাররা।

বিশ্বকাপে সাত জয়ের গল্পটাই চলুন আবার মনে করা যাক।

প্রথম জয়: ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিল বাংলাদেশ। গেইল-সারওয়ানদের ১৬৪ রানে আটকে দেয় আশরাফুল বাহিনী। পরে আফতাব ও অধিনায়ক আশরাফুলের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। আফতাব ৬২ ও আশরাফুল ৬১ রান করেছিলেন। এই জয়ে প্রথম পর্ব পার হয়ে সুপার এইট পর্বে উন্নীত হয় টাইগাররা। কিন্তু পরের সব ম্যাচেই হেরে যায় দলটি।

দ্বিতীয় জয়: বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে সাত বছর। ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে আসে সেই জয়। সেবার সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। প্রথম রাউন্ডে মোট তিনটি ম্যাচ খেলেছে স্বাগতিকরা। যার মধ্যে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। যা বিশ্বকাপে টাইগারদের দ্বিতীয় জয়।

তৃতীয় জয়: ২০১৪ সালের আসরেই আসে তৃতীয় জয়। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। যদিও তৃতীয় ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হারের লজ্জায় ডুবেছিল টাইগাররা। তারপরও রান রেটের মারপ্যাচে মূল পর্বে উন্নীত হয় স্বাগতিকরা। কিন্তু মূল পর্বে চারটি ম্যাচেই হেরেছে মুশফিক বাহিনী। এর আগে ২০০৯ সালে দুটি, ২০১০ সালে দুটি ও ২০১২ সালের বিশ্বকাপেও দুটি করে ম্যাচ খেলে জয় শূন্য ছিল বাংলাদেশ।

চতুর্থ জয়: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চতুর্থ জয়টাও প্রথম রাউন্ডে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারায় বাংলাদেশ। ধর্মশালায় হয়েছিল ম্যাচটি।

পঞ্চম জয়: ২০১৬ সালের আসরেই এসেছিল পঞ্চম জয়। প্রথম রাউন্ডে ওমানকে হারায় মাশরাফি বাহিনী। ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। যা টি-টোয়েন্টিতে দেশের প্রথম ও এখন অব্দি একমাত্র সেঞ্চুরি।

তবে ওই আসরের মূল পর্বে জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাঙ্গালোরে ভারতকে হারানোর সব আয়োজনই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ভুলে হৃদয়ভাঙার দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

ষষ্ঠ জয়: ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ সাল অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে দুটি জয় পায় বাংলাদেশ। ওমানে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের বিশ্বকাপ শুরু করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পরের ম্যাচে ওমানকে পরাজিত করে বিশ্বকাপে ষষ্ঠ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

সপ্তম জয়: ওমানের পর ২০২১ সালে দুর্বল পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে আসে সপ্তম জয়। বাংলাদেশ ১৮১ রান করলেও পাপুয়া নিউগিনি  ৯৭ রানে গুটিয়ে যায়। এ যাত্রায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরেছিল বাংলাদেশ দল। কারণ মূল পর্বে সবকটি ম্যাচ হেরেছিল মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.