আগাম জাতীয় নির্বাচন চান ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতীয় পরিষদের ৮টি আসনের উপনির্বাচনের ছয়টিতেই জয়ী হয়েছেন। সোমবার আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তিনি এই জয় পেয়েছেন। এই বিজয়কে তিনি তার দলের জনপ্রিয়তা পরীক্ষিত হয়েছে বলে মনে করেন এবং আগাম জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছেন। খবর এএফপি।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানের এই জয় পুরো পাকিস্তানে তেহরিক ই ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) পার্টিতে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সংসদের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে এসব আসন খালি হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানে ভয়ংকর বন্যা দেখা দেওয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

ইমরান খানের এই জয়কে ব্যাপক কাভারেজ দিয়েছে পত্রিকাগুলো। ডেইলি টাইমস ব্যানার হেডিং করেছে, ‘তিনি অনেককে পরাজিত করলেন (হি ডিফিটস মেনি)’। খবরটিতে একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ইমরানের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে দুটি আসন হারানোর বিষয়টি পিটিআইয়ের জন্য দুঃখজনক।

পাকিস্তানের নির্বাচনে এক ব্যক্তি একাধিক আসনে লড়তে পারেন। তবে ইমরান খান একাই এতগুলো আসনে দাঁড়িয়ে একটি বিরল নজির স্থাপন করেছেন। ৭০ বছর বয়সী রাজনীতিক ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর তার দলীয় আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাতীয় পরিষদে তিনি কোনো পিটিআই সদস্য রাখেননি।

খবরে বলা হচ্ছে, কয়েক ডজন নির্বাচনী আসনের মধ্যে মাত্র আটটিতে ভোট হয়েছে। পিটিআই নেতারা বলেছেন, ইমরান খান যেসব আসনে জয়লাভ করেছেন, সেখানে অন্য কোনো নেতা লড়বেন না। ইমরান খান আগাম জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারকে চাপ দিচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে এর আগে এক লংমার্চে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ইমরান খানের দল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত পুরো দেশে সমাবেশ করছেন। তার বক্তব্য প্রায়ই স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তার এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার স্যোশাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আরোপও করেছে।

ইসলামাবাদের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের বিশ্লেষখ ইমতিয়াজ গুল বলেন, সম্মিলিত বিরোধিতার মুখে আটটির মধ্যে ছয়টি আসনে জয় ছোট কিছু নয়। ইমরান খানের এই বিজয় ক্ষমতাসীন জোটের জন্য এক বড় হুমকি। কারণ ইমরান খান সারা দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছেন।