প্রধানমন্ত্রী : শিশুদের বাসযোগ্য বিশ্ব গড়তে যুদ্ধ পরিহার করুন

শেখ রাসেল দিবসে শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য বিশ্ব গড়ে তোলার প্রত্যাশায় যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) তার ছোটভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০০২’ এর উদ্বোধনী এবং শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণে এ আহ্বান জানান। খবর বাসস।

‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী

গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী আমরা চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না, ধ্বংসযজ্ঞ ও অস্ত্র ব্যবসা চাই না। আমরা কোনো শিশুকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করা হোক এবং কাউকে গুলি করে হত্যা করা হোক, তাও চাই না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কত শিশুকে এতিম করে দিচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে কত শিশু। আর কোন শিশুকে রাসেলের মতো যেন জীবন দিতে না হয়। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। সেখানেও তো শিশুরা পরভূমে রিফিউজি হিসেবে মানুষ হচ্ছে। প্রত্যেকের ভবিষ্যত সুন্দর হোক, উন্নত হোক সেটিই আমরা চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ১০ বছরের  শিশু শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’পালিত হচ্ছে। দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য -‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক। শেখ রাসেল দিবস  উপলক্ষে দেশব্যাপী কুইজ, ক্রীড়া, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সম্পাদিত ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ এবং শিশু বক্তা আফসা জাফর সৃজিতা।