ফ্রিজ খুলতে না করছে ইউরোপের বহু সুপারমার্কেট
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গ্যাস সংকটে নাকাল ইউরোপের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো বিদ্যুৎ বিলের চাপে ঝাপ ফেলতে শুরু করেছে। দোকান খুললেও ক্রেতাদের চাহিদার পণ্য দিতে পারছেন না অনেকে। গ্যাসের অভাবে ব্রেড, পেস্ট্রি বিক্রি বন্ধ করেছেন বেকারি মালিকরা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ক্রেতাদের ফ্রিজ খুলতে না করছে বহু সুপারমার্কেট। ইউরোপে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের এমন হরেক চেহারা ধরা পড়েছে নানাজনের ক্যামেরায়।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের নজিরবিহীন সংকট ব্যবসায়ীদের পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য সংগঠনগুলো। গ্যাস সংকটের অভিঘাত থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে এসোসিয়েশন অব কনভেনিয়েন্স স্টোরস (এসিএস)।
সরকারের আর্থিক প্রণোদনা না পেলে ব্যবসা লাটে উঠবে জানিয়ে এসিএস বলেছে- গ্রামে, হাউজিং এস্টেটে, পাড়া-মহল্লায় এমনকি অভিজাত এলাকাগুলোর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেতে দেখব আমরা। ব্রিটেনের ৪৮ হাজার স্থানীয় দোকান এসিএসের সদস্য। এসব দোকানে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ৫ হাজার মানুষ। বড় দোকানগুলোর কথা বাদ থাক, ক্ষুদ্র দোকান মালিকরাই প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ হাজার পাউন্ড বা তারও বেশি গ্যাস বিল গুনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে এসিএস।
ব্রিটেনের পাশের দেশ ফ্রান্সেও একই অবস্থা। ফ্রান্স-২ টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো আগের তুলনায় দ্বিগুন এমনকি তিনগুন পর্যন্ত গ্যাস বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী দোকান খুলছেন না বলেও জানা গেছে। সবচেয়ে সংকটে আছে বেকারি ও পেস্ট্রি ব্যবসায়ীরা।
রাজধানী প্যারিস থেকে শুরু করে বহু শহরে বেকারি ও পেটিসারিতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পণ্য পাচ্ছেন না ফরাসি নাগরিকরা। গ্যাস সংকটের কারণে ব্রেড ও পেস্ট্রি বিক্রি বন্ধ, এমন সাইনবোর্ড ও নোটিশ ঝুলিয়ে রেখেছে বহু দোকান। লোয়িত শহরের গ্রেনভিল-অঁ-বচ এলাকার কেভিন-রবিন আগের তুলনায় বিদ্যুৎ বিল ৩০৫ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে নিজের বেকারি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। কেভিনের মতো ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন আরও অনেকে।
বেকারি বন্ধের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, আমরা তাহলে কোথায় ব্রেড পাব? কোনো দোকানেই ব্রেডের দেখা মিলছে না। এভাবে বেকারি বন্ধ হতে থাকলে প্রবীণ নাগরিকদের কি হবে? একা থাকেন এমন অসংখ্য মানুষ তিন বেলা খাবারের জন্য এসব দোকানের উপর নির্ভরশীল। তাদের কি হবে এখন?
ফ্রান্সের চেয়ে নাজেহাল অবস্থা জার্মানির বেকারি ব্যবসায়ীদের। এক বছর আগের তুলনায় গ্যাস বিল এখন ১২ গুন হয়েছে বলে জার্মান দৈনিক বিল্ডকে জানিয়েছেন একহার্ড ভাট্টার। জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় লোয়ার সাক্সনি প্রদেশে ভাট্টার বেকারির ৩৫টি আউটলেটে কর্মরত আছেন ৪৩০ জন কর্মী। গ্যাস সংকট ও বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির কারণে পারিবারিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একহার্ড।
গ্রোসারি ও সুপারমার্কেট ব্যবসায়ীরাও সংকটে আছেন। ইউরোপের বেশ কয়েকটি রিটেইল চেইন এরইমধ্যে পণ্য বিক্রিতে কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অনেক আউটলেটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সীমিত লাইটিং ব্যবহার করা হচ্ছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে তাজা সবজি, ফলমুল ও মাছ-মাংস সংরক্ষণে। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কের বহু সুপারশপে ফ্রিজের গায়ে স্টিকার ও লিফলেট নোটিশ লাগিয়ে ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে কাঁচের বাইরে থেকে পণ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার পর ফ্রিজ খুলতে, যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.
360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.
Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.