গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপিয়ান ফুটবলে আলোচিত দেশ ওয়েলস। পরপর দুইবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে তারা। ৬৪ বছর পর তারা ফিরছে ফুটবল মহাযজ্ঞে। এবার রঙিন প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে দেশটি। এ যাত্রায় তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা দিতে হবে শিরোপা প্রত্যাশী ইংল্যান্ডের কাছে। বাকি দুই দলের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য রাখেন গ্যারেথ বেল অ্যান্ড কোং। ইংলিশদের যে তারা হারাতে পারবেন না এমন কোনো কথাও নেই। ওয়েলসের অন্তত শেষ ষোলোতে ওঠা উচিত। ইরান কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিতলেই কাজটা সহজ হয়ে যাবে। এই গ্রুপের দ্বিতীয় ফেভারিট ভাবা হচ্ছে তাদের।

wales national football teamকাতার বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস

১৯৮৬ সালে সুইডেনে প্রথম ও শেষ বিশ্বকাপে খেলেছে ওয়েলস। এরপর বাছাইপর্বের বৃত্তেই আটকে গেছে তারা। বেলের হাত ধরেই ঘুচে গেছে প্রায় সাড়ে ছয় দশকের অপেক্ষা। এ ছাড়া দলটিতে আছে বেশকিছু তরুণ ফুটবলার। যা আশা দেখাচ্ছে দশকে। তাদের জায়গা দিতে গিয়ে অ্যারন র‌্যামসের মতো ফুটবলারকেও বাদ দিতে হয়েছে। বিশ্বকাপে প্রথম অংশ নিয়ে শেষ আটে উঠেছিল ওয়েলস। এবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব নয়; তবে বেশ চ্যালেঞ্জিং।

তারকা: অনেকের চোখে ওয়েলস ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল। সেটা অবশ্য সবদিক মিলিয়েই। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ ও গোলের রেকর্ড দুটোই এই উইঙ্গারের দখলে। ২০০৬ সালে অভিষেক থেকে এ পর্যন্ত ১০৮ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন উইঙ্গার। বর্তমানে তার কাঁধেই ওয়েলসদের দায়িত্বে। বেলের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে জায়গা করে নেয় ওয়েলস। ৬৪ বছর পর ওয়েলস যে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে সেটারও স্বপ্নদ্রষ্টা তিনিই। এবারের বিশ্বমঞ্চে বেলের বুটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ওয়েলস।

প্রধান কোচ: ক্রিস কোলম্যানের অধীনে পুনর্জন্ম হয়েছিল ওয়েলসের। তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ২০১৮ সালে নিযুক্ত হন রায়ান গিগস। স্বদেশি কোচের অধীনে ভালোই সাফল্য পাচ্ছিলেন বেল অ্যান্ড কোং। ঝামেলা বাধে এরপরই। ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় নেমে আসে গিগসের ওপর। শেষপর্যন্ত যৌন কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে সরেই দাঁড়াতে হয় তাকে। ২০২২ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের আগ পর্যন্ত অবশ্য ঝুলে ছিল গিগসের ভাগ্য। ওই সময়ে ওয়েলস সামলেছেন রবার্ট পেজ। ২০২০ সালে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বেলদের দায়িত্ব। কাজে ভালোই করছেন তিনি।

কিংবদন্তি: ওয়েলস ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি ভাবা হয় আইভর আলচার্চকে। তার দুর্দান্ত নেতৃত্বে প্রথমবার ১৯৫৮ সালে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ওয়েলস। প্লে-অফ পর্বে দুই লেগেই ইসরায়েলের বিপক্ষে গোল করেছিলেন আলচার্চ। ওয়েলস টিকিট পায় স্বপ্নের মঞ্চের। ওই বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে ওয়েলস ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। যার আসল নায়ক আলচার্চ। ১৯৫১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক এই ফরওয়ার্ডের। ১৯৬৬ সালে অবসর নেন আলচার্চ। এই সময়টাতে দেশের হয়ে ৬৮ ম্যাচে ২৩ গোল করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে রায়ান গিগস, ইয়ান রাশ, মার্ক হিউজের মতো কিংবদন্তিরা খেলেছেন ওয়েলসের জার্সিতে।

ওয়েলস:

ফিফা র‌্যাঙ্কিং: ১৯

গ্রুপ ‘বি”: ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ওয়েলস

বিশ্বকাপ রেকর্ড:

১৯৩০-১৯৩৮: ফিফার সদস্য ছিল না
১৯৫০-৫৪: বাছাই
১৯৫৮: কোয়ার্টার ফাইনাল
১৯৬২-২০১৮: বাছাই

গ্রুপপর্বের সূচি:

২১ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলস, রাত ১টা
২৫ নভেম্বর: ওয়েলস-ইরান, বিকেল ৪টা
২০ নভেম্বর: ওয়েলস-ইংল্যান্ড, রাত ১টা

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.