ইমরানের ভাষণে নিষেধাজ্ঞা এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের লং মার্চের সব ভাষণ, প্রেস কনফারেন্সের টেলিভিশনে সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটারি অথরিটি (পিইএমআরএ)। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফেডারেল সরকার। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

হাসপাতালে ইমরান খান

গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে ওয়াজিরাবাদে লং মার্চ চলাকালে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান খান। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, তিনি আগে থেকেই জানতেন, তার ওপর এ ধরনের হামলা হবে। তিনি এ হামলার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়ী করেন।

তার এ ধরনের বিবৃতির প্রেক্ষিতে পিইএমআরএ লং মার্চে ইমরান খানের পুরোনো বা আগামী দিনে হতে চলা সমস্ত ভাষণ সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। তারা জানায়, ইমরান তার ভাষণে তার ওপর চালানো হামলার ব্যাপারে রাষ্ট্রের কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। দেশের নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক, অপবাদমূলক, অপমানজনক ও অযৌক্তিক সম্প্রচার করা সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। টিভি চ্যানেলে তার ওই বক্তব্য কোনও ধরনের সতর্ককতা বা সম্পাদনা ছাড়াই সম্প্রচারিত হয়েছে।

পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটারি অথরিটি (পিইএমআরএ)

সংস্থাটি আরও জানায়, এমন বক্তব্য সম্প্রচার করা হলে তা মানুষের মধ্যে হিংসা জাগিয়ে তুলবে। এই ধরনের ভাষণে মানুষের স্বাভাবিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, এমনকি জাতীয় সুরক্ষাও বিঘ্নিত হতে পারে। পুরো বিষয়টিকে আর্টিক্যাল-১৯ এর লঙ্ঘন বলে দাবি করে পিইএমআরএ ইমরানের ভাষণ সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

তবে পিইএমআরএ এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার দেওয়ার এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। পিইএমআরএ আইনের ধারা-৫ ফেডারেল সরকারকে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা স্থগিত করার ক্ষমতা দেয়। সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকার ইমরানের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দেয়।

এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমরান খানের আমলের তিক্ত ঐতিহ্যের অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নতুন ঐতিহ্য স্থাপন করেছেন। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসী।