আর্জেন্টাইন ফুটবল: এক ম্যাচে ১০ লাল কার্ড!

২২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল। দেড় ঘণ্টা পর ম্যাচ ১-১ সমতা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। তবু ম্যাচটা ড্রয়ের আশঙ্কা জাগায়। শেষ বাঁশির দুই মিনিট আগে বাজিমাত রেসিং ক্লাবের। জয়সূচক গোল করেন কার্লোস আলকারাজ। সোমবার বোকা জুনিয়র্সকে হারিয়ে আর্জেন্টাইন কাপ জেতে রেসিং ক্লাব।

ফাইনালে বোকা জুনিয়র্সকে কাঁদিয়ে আর্জেন্টাইন কাপের শিরোপা নিয়ে রেসিং ক্লাবের উল্লাস।

কিন্তু শিরোপা জয়ী দলের হাতে তুলে দেওয়ার আগে ঘটে গেল অনেক কিছু। সেটা কয়েকটা ধাপে। জয়সূচক গোলের পর আগ্রাসী উদযাপন করেছেন আলকারাজ। এই উদযাপন নিয়ে ঘটে গেল লঙ্কা-কাণ্ড। ভিডিওতে দেখা যায় বোকা সমর্থকদের খুব কাছে গিয়ে বুনো উল্লাস করছিলেন আলকারাজ। তাতে ছিল উস্কানি।

এ সময় বোকার এক সমর্থক রেসিং ক্লাব তারকার কান টেনে ধরেন। এই ঘটনা ছড়িয়ে পরে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাল কার্ডের বৃষ্টি ঝরাতে হয়েছে রেফারিকে। আলকারাজসহ রেসিং ক্লাবের দুজন এবং বোকার পাঁচজনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

ম্যাচ নির্ধারক গোলের আগেও দুই দলের ফুটবলারদের শারীরী ভাষায় ছিল আগ্রসন। এ কারণে দুই দলই নির্ধারিত সময় শেষ করেছে ১০ জনের দল নিয়ে। অতিরিক্ত সময়ের ২০ মিনিটে নয়জনের দলে নেমে যায় বোকা। ১০ জনের রেসিং ক্লাব চেপে ধরে বোকাকে। এরপরই আলকারাজের গোল।

দুই দলের মহারণে যে কিছু একটা ঘটবে সেটার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। আর্জেন্টাইন প্রিমিয়ার লিগে রেসিং ক্লাবকে পেছনে ফেলে শিরোপা জেতে বোকা জুনিয়র্স। তাই আর্জেন্টাইন কাপে দুই দল করেছে থ্রিলার লড়াই। সেই লড়াইটা যে এভাবে শেষ হবে সেটা ছিল কল্পনারও বাইরে।

ম্যাচটা বোকা শেষ করেছে ছয় জনের দল নিয়ে। তাদের বেঞ্চের দুজন ফুটবলারও দেখেছেন লাল কার্ড। বহিষ্কৃত হওয়া এসব ফুটবলারের শাস্তি অবশ্য এখানেই শেষ নয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে সামনে আরও বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন তারা।