'যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ নয়, এমন প্রেসিডেন্টই চাই'

হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই লেবাননের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এমন কোনো ব্যক্তি হবেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল হবেন না বা আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। খবর মিডলইস্টমনিটর।

হাসান নাসরুল্লাহ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন হিজবুল্লাহ মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি বরং আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে রক্ষা করেন। প্রতিরোধ রক্ষা করা মানে এর পিঠে ছুরিকাঘাত করা বা আন্দোলনকে বিক্রি করে দেওয়া নয়।

লেবাননের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিশেল আউন। গত অক্টোবরের শেষের দিকে ছয় বছরের ম্যান্ডেট শেষে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর পাঁচ দফা চেষ্টা চালিয়েও আউনের উত্তরসূরি র্নিধারণ করতে পারেনি লেবাননের পার্লামেন্ট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য বৈঠক চলাকালে হিজবুল্লাহবিরোধী এমপিরা একবার এমপি মিশেল মোয়াদকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে তার পরিচিতি থাকায় হিজবুল্লাহর এমপিরা তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ফলে তাকে প্রেসিডেন্ট করার পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়।

নাসরুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলন লেবাননের জনগণের একটি বড় অংশ। লেবানিজরা এমন একজন প্রেসিডেন্ট চায়, যিনি প্রতিরোধকে সমর্থন করেন, সাহসী হন, লেবাননের স্বার্থকে তার নিজের স্বার্থের উপরে রাখেন এবং আন্দোলনকে কারও কাছে বিক্রি করে দেন না।

তিনি এ সময়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট পদের শূন্যতায় কেউ খুশি নয় এবং দেশ যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চায়। পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট আউনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তার কাছে দেশ নিরাপদ ছিল। কারণ তিনি সাহসী ছিলেন এবং প্রতিরোধ আন্দোলন গত ছয় বছরে লেবাননের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ট্রফি হিসেবে কাজ করেছে। সর্বোপরি সমুদ্রসীমা অর্জনে বিষয়টি একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

দুই বছর প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য থাকার পর ২০১৬ সালে আউনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পদটিতে আবারও শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।

লেবানন বর্তমানে অত্যন্ত গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে এবং ২০১৯ সাল থেকে এটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।