পাকিস্তানকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিশোধ

আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের পুঁজি ছিল ১৩৭ রানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন পুঁজি নিয়ে জিতলে গেলে বল হাতে অলৌকিক কিছু করতে হতো বাবর আজমের দলকে। কিন্তু সেটা করতে পারেনি প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ইংলিশ বাহিনী।

পাকিস্তানকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিশোধ

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের সবশেষ সংস্করণের বিশ্বমঞ্চের সেরার মুকুট পরেছিল ইংলিশ বাহিনী।

পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। ১৯৯২ সালে একদিনের বিশ্বকাপে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ইংলিশদের পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এবারে এশিয়ান পরাশক্তিদের হারিয়ে সে ক্ষতে প্রলেপ দিলো বাটলার বাহিনী।

ইংল্যান্ডকে ছোট লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। ১৬ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ দুই দলের দিকেই দুলছিল। তবে সেই ওভারের প্রথম বল করার পর শাহিন শাহ আফ্রিদি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংলিশরা। বদলি বোলার ইফতেখার আহমেদের এক ওভারে ১৩ রান তোলে ইংল্যান্ড।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দলীয় ৭ রানেই ইনফর্ম অ্যালেক্স হেলসকে হারায় ইংল্যান্ড। মাত্র ১ রান করেন সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি হাঁকানো ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরে যান ফিল সল্ট। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন বাটলার। হারিস রুউফের শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে তিন চার এবং এক ছয়ের মারে ২৬ রান করেন অধিনায়ক।

৪৫ রানে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকস। দলীয় ৮৪ রানে শাদাব খানের বলে আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রুক। সেই সাথে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেট ৪৮ রান যোগ করে ইংল্যান্ডকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান স্টোকস ও মঈন। ১৩ বলে ১৯ রান করে ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন পরেরজন। তবে ফিফটি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন স্টোকস। ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে পাকিস্তানের হয়ে দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল চারজন। দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের করেন যথাক্রমে ৩২ ও ১৫ রান। তবে টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যানের ইনিংস দলের জন্য তেমন কাজে আসেনি। বাবর ২৮ ও রিজওয়ান খেলেন ১৪ বল।

সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শান মাসুদ। ২৮ বলে দুই চারের পাশাপাশি এক ছয় মারেন তিনি। ক্রিস জর্ডানের শিকার হওয়ার আগে ১৪ বলে দুই চারের সাহায্যে ২০ রান করেন শাদাব খান। বিপরীতে ফাইনালের মতো ম্যাচে এসে দলকে চরম হতাশা করেছেন মোহাম্মদ হারিস, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজের মতো হার্ডহিটাররা।

ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল স্যাম কারান। মাত্র ১২ রানে ঝুলিতে তিন উইকেট পুরেছেন এই পেসার। কারানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান। এই দুইজন নেন সমান দুটি করে উইকেট। এছাড়া সিমিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের শিকার একটি।