কাতার বিশ্বকাপ: শেষ হলো এক পর্ব

নির্ধারিত সময়ের আগেই কাতার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে ফেভারিটরা। শেষ দুদিনে স্বপ্নযাত্রার দল দিলো এশিয়ান পরাশক্তি ইরান ও ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ডেনমার্ক। ডেনিশরা অবশ্য আগেই দিয়েছিল ২১ জনের দল। সোমবার বাকি পাঁচজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার রাতে ইরান একসঙ্গেই দিয়েছে চূড়ান্ত দল।

কাতার বিশ্বকাপ

ডেনমার্ক কোচ ক্যাসপার জুলমান্ডের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন লাইপজিগ স্ট্রাইকার ইউসুফ পোলসেন, ব্রেন্টফোর্ড মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান নরগার্ড, হফেনহেইম মিডফিল্ডার হুবার্ট স্কোউ, বেনফিকা ডিফেন্ডার অ্যালেক্সান্ডার বেহ ও ইউনিয়ন বার্লিনের শেষ প্রহরী ফেডেরিকো ওয়াননু। আগামী ২২ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ডেনিশদের। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে তারা।

ইরানের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলা সরদার আজমুন। গুঞ্জন ছিল ইরানজুড়ে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে যারা কথা বলেছেন তাদের বাদ দেওয়ার চাপ আছে প্রধান কোচ কার্লো কুইরোজের ওপর। আজমুন ছিলেন তাদেরই একজন। তাকে অবশ্য দলে রাখা হয়েছে। তবে কদিন আগে চোট পাওয়া ওমিদ এব্রাহিমি ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে।

সংবাদ সম্মেলন করে দল দেওয়ার কথা ছিল ইরানের। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে ইরান ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়। দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ঝুলেছিল কয়েকজনের ভাগ্য। অনিশ্চয়তার কারণ, ইরানে চলমান নারী অধিকার আন্দোলনে সহমত পোষণ করেছিলেন কিছু ফুটবলার। বায়ার লেভারকুজেন ফরওয়ার্ড আজমুন তো সরাসরি সরকারের সমালোচনা করেছেন।

ওই ঘটনার পর আজমুনের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার গুঞ্জন বের হয়। আজমুন নিজেও বলেছিলেন, ‘ইরানের নারীদের অধিকার আদায়ের তুলনায় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া কিছুই নয়।’ বাস্তবতা হচ্ছে আজমুন ইরান দলের অপরিহার্য অংশ। বিশ্বকাপে কোচের পরিকল্পনার প্রধান অংশ তিনিই।

আগামী ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ইরান। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে মূল লড়াইয়ের আগে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ইরান।

ডেনমার্কের বিশ্বকাপ দল

গোলরক্ষক: ক্যাসপার স্মাইকেল, অলিভার ক্রিশ্চেনসেন, ফ্রেডেরিক ওয়াননু।

ডিফেন্ডার: সিমোন কেজায়ের, জোয়াকিম আনাসন, জোয়াকিম মাহেল, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, রাসমুস ক্রিশ্চেনসেন, জোনস লারসেন, ভিক্টর নেলসন, ড্যানিয়েল বাস, অ্যালেক্সান্ডার বেহ।

মিডফিল্ডার: থমাস ডিলানি, ম্যাথিয়াস জ্যানসেন, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, পিয়েরি-এমিল হজবার্গ, ক্রিশ্চিয়ান নরগার্ড, হুবার্ট স্কোউ।

ফরওয়ার্ড: আন্দ্রেস স্কোউ ওলসেন, জেসপার লিন্ডস্ট্রোম, আন্দ্রেস কর্নিলিউস, মার্টিন ব্রাথওয়েট, ক্যাসপর ডলবার্গ, মিকেল ডামসগার্ড, জোনাস উইন্ড, ইউসুফ পোলসেন।

ইরানের বিশ্বকাপ দল

গোলরক্ষক: আলিরেজা বেইরানভান্দ, পয়ম নিয়াজমান্দ, হুসাইন হোসেনি, আমির আবেদজাদেহ।

ডিফেন্ডার: সাদেগ মোহররামি, এহসান হাজসাফি, শোজায়ে খলিলজাদেহ, মিলাদ মোহাম্মদি, মোর্তেজা পৌরালিগঞ্জি, মজিদ হোসেনি, আবুলফজল জালালি, রামিন রেজাইয়ান, আল আহলি হোসেন কানানি।

মিডফিল্ডার: সাইদ এজাতোলাহি, ওয়াহিদ আমিরি, সামান ঘোদ্দোস, আহমদ নুরুল্লাহি, আলি করিমি, রাউজবেহ চেশমি।

ফরওয়ার্ড: আলিরেজা জাহানবখশ, মেহদি তারেমি, করিম আনসারিফার্দ, মেহদি তোরাবি, আলি গোলিজাদেহ, সরদার আজমুন।